ইতালি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতালীয় প্রজাতন্ত্র
রেপুব্লিকা ইতালিয়ানা
পতাকা প্রতীক
জাতীয় সঙ্গীত
ইল কান্তো দেলি ইতালিয়ানী  (ইতালীয়)
ইতালীয়ানদের সঙ্গীত

 ইতালি এর অবস্থান  (গাঢ় সবুজ)– ইউরোপে  (হালকা সবুজ ও গাঢ় ধূসর)– ইউরোপীয় ইউনিয়নে  (হালকা সবুজ)  —  [মানচিত্রে]
 ইতালি এর অবস্থান  (গাঢ় সবুজ)

– ইউরোপে  (হালকা সবুজ ও গাঢ় ধূসর)
– ইউরোপীয় ইউনিয়নে  (হালকা সবুজ)  —  [মানচিত্রে]

রাজধানী Coats of arms of None.svg রোম
৪১°৫৪′ উত্তর ১২°২৯′ পূর্ব / ৪১.৯০০° উত্তর ১২.৪৮৩° পূর্ব / 41.900; 12.483
বৃহত্তম শহর রাজধানী
রাষ্ট্রীয় ভাষাসমূহ ইতালীয়
প্রধান ধর্ম রোমান ক্যাথলিক
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ ইতালিয়ান
সরকার ঐক্যমূলক সংসদীয়
সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র
 -  রাষ্ট্রপতি জর্জ নেপোলিটানো
 -  প্রধানমন্ত্রী মাততেও রেনসি
আইন-সভা জাতীয় সংসদ
 -  উচ্চকক্ষ প্রজাতন্ত্র সেনেট
 -  নিম্নকক্ষ ডেপুটি চেম্বার
গঠন
 -  একত্রীকরণ ১৭ই মার্চ, ১৮৬১ 
 -  প্রজাতন্ত্র ২রা জুন, ১৯৪৬ 
 -  ইইসি প্রতিষ্ঠিত (এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন) ১লা জানুয়ারি, ১৯৫৮ 
ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি ২৫ মার্চ ১৯৫৭ (প্রতিষ্ঠানিক সদস্য)
আয়তন
 -  মোট ৩০১ বর্গ কিমি. (৭২তম)
১১৬ বর্গ মাইল 
 -  জলভাগ (%) ২.৪
জনসংখ্যা
 -  ৩১.১২.২০১৩ আনুমানিক ৬,০৭,৮২,৬৬৮[১] (২৩তম)
 -  ২০১১ আদমশুমারি ৫,৯৪,৩৩,৭৪৪[২] (২৩তম)
 -  ঘনত্ব ২০১.৭/বর্গ কিলোমিটার 
./বর্গ মাইল
জিডিপি (পিপিপি) ২০১৪ আনুমানিক
 -  মোট $১.৮৪৭ ট্রিলিয়ন[৩] (১১তম)
 -  মাথাপিছু $৩০,৮০৩[৩] (৩২তম)
জিডিপি (নামমাত্র) ২০১৪ আনুমানিক
 -  মোট $২.১৭১ ট্রিলিয়ন[৩] (৮ম)
 -  মাথাপিছু $৩৬,২১৬[৩] (২৭তম)
জিনি (২০১১) ৩১.৯ 
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৩) ০.৮৭২ (২৬তম)
মুদ্রা ইউরো () (EUR)
সময় স্থান সিইটি (ইউটিসি+১)
 -  গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) সিইএসটি (ইউটিসি+২)
ট্রাফিকের দিক ডানদিকে
ইন্টারনেট টিএলডি .it
কলিং কোড ৩৯

ইতালি (ইতালীয়: Italia ইতালি‌য়া) পশ্চিম ইউরোপের একটি একীভুত প্রজাতান্ত্রিক সংসদীয় রাষ্ট্র। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত একটি দেশশেনঝেন চুক্তি স্বাক্ষরকারী বিধায় শেনঝেন ভিসা নিয়ে এ দেশে প্রবেশ করা যায়। ইউরো অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত বিধায় এর মুদ্রা ইউরো। এ দেশে সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা চালু আছে।
ইতালির উত্তর সীমান্তে আল্পাস পর্বতমালা সংলগ্ন ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়াস্লোভেনিয়া অবস্থিত এবং দক্ষিণে সম্পূর্ণ ইতালীয় উপদ্বীপ, মেডিটারিয়ান সমুদ্র সংলগ্ন দুই মহাদ্বীপ সিসিলীসারদিনিয়া এবং আরো অনেক ছোট ছোট দ্বীপে পরিবেষ্টিত। সান মারিনোভ্যাটিক্যান সিটি নামের দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ইতালি অধিভুক্ত, অপরদিকে কাম্পিওনে দি'ইতালিয়া বহির্ভূত সুইজারল্যান্ড ধারন করেছে। ইতালীর সীমানাক্ষেত্রটি প্রায় ৩,০১,৩৩৮ বর্গ কিলোমিটার (১,১৬,৩৪৬ বর্গ মাইল) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ঋতুময় ইতালীয় জলবায়ু নাতিশীতোঞ্চ। ৬০•৬ মিলিয়ন (সাড়ে ষাট লক্ষের উপরে) অধিবাসী সম্বলিত ইতালি জনসংখ্যার দিকে ইউরোপে পঞ্চম ও বিশ্বে ২৩তম জনবহুল দেশ। এর রাজধানী রোম (ইতালীয় শব্দ রোমা) শহর। শতাব্দীর পশ্চিমা সভ্যতায় রোমান সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক কেন্দ্রস্থল হওয়ার কারনে এটিকে রাজধানী করা হয়। এর অবনতির পর, ইতালি বহুসংখ্যক ভিনদেশী, জার্মানিক উপজাতি যেমন লোম্বার্ডসওস্ট্রুগোথস থেকে শুরু করে বাইজান্টাইন্স এবং পরবর্তীতে নর্মান্স, সাথে আরো অনেকের অনুপ্রবেশ সহ্য করেছে। পরবর্তী শতাব্দী রেনেসাঁর[৪] জন্মভূমি হয়ে উঠে। ইতালির অখণ্ড আকারের পরবর্তীকালীন ইউরোপীয় বুদ্ধিদীপ্ত গতিবিধি ও চিন্তা ধারণা ব্যাপকভাবে উর্বরতা পায়।
রোমানোত্তর ইতিহাসে যদিও ইতালি অনেক রাজ্য ও শহরে বিভক্ত ছিলো - সারদিনিয়া রাজ্য, দুই সিসিলিয়া রাজ্য, ডাচি অব মিলান কিন্তু ১৮৬১ সালে একীভূত হয়,[৫] ইতিহাসের এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে, যা “ইল রিসরজিমেন্ত” (পুনরুত্থান) নামে পরিচিত। ১৯ শতকের শেষের দিকে, ১ম বিশ্বযুদ্ধ থেকে ২য় বিশ্বযুদ্ধকালীন ইতালি ঔপনিবাশিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। এর শাসন লিবিয়া, ইরিথ্রিয়া, সোমালিয়া, ইথোপিয়া, আলবেনিয়া, ডোডেকানিস পর্যন্ত বর্ধিত করে ও চীনের তিয়াঞ্জিন শহরও এতে সম্মতি প্রদান করে।[৬]

বর্তমান ইতালি একটি গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এটাকে বিশ্বের ২৩তম উন্নত দেশ হিসেবে গণনা করা হয়[৭] ও জীবনের মান নির্দেশ বিচারে বিশ্বের সেরা দশে ইহার স্থান।[৮] ইতালিয়ানরা খুব উন্নত জীবন-যাপনে অভ্যস্ত এবং প্রতি কাপিটাতে আছে উচ্চ নমিনাল জিডিপি[৯][১০] ইতালি হচ্ছে ইউরোপিয়া ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এটি ইউরোজোনেরও একটি অংশ। এছাড়াও এটির জি৮, জি২০ এবং ন্যাটোর সদস্যপদ রয়েছে। ইতালির রয়েছে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম নমিনাল জিডিপি, দশম উচ্চতর জিডিপি (পিপিপি))[১১] এবং ষষ্ঠ বৃহত্তম সরকারি বাজেট[১২] এটি অরগানাইজেশন ফর ইকনোমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন, কাউন্সিল অব ইউরোপ, ওয়েস্টার্ন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউনাইটেড ন্যাশন্সের সদস্য। ইতালির রয়েছে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ডিফেন্স বাজেট এবং ন্যাটো নিউক্লিয়ার সরঞ্জামের অংশীদারিত্ব। ইতালির ইউরোপীয় ও পৃথিবীব্যাপী সামরিক, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কে বিশাল ভূমিকা পালন করে। ইউরোপীয় রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব দেশটিকে দিয়েছে আঞ্চলিক শক্তি। দেশটির রয়েছে সরকারি উচ্চ শিক্ষা কাঠামো ও উচ্চ বিশ্বায়িত জাতি।[১৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

“ইতালিয়া” (Italia) নামের ব্যুৎপত্তিটির অনেক সংখ্যক পুর্বধারণা আছে এবং এর সমাধানের পথ নিয়ে ইতিহাসবিদরা ও ভাষাবিদরা বিস্তৃত ধারণা দিয়েছেন।[১৪] অনেকগুলো বর্ণনা থেকে অন্যতম ব্যাখ্যা হলো, ইতালিয়া শব্দটি ল্যাটিনঃ ইতালিয়া থেকে এসেছে,}},[১৫] যা গ্রিক শব্দ ওসকান (Oscan); Víteliú; যার অর্থ দাঁড়ায় “ছোট গবাদিপশুদের চারণভূমি” (land of young cattle) (cf. Lat vitulus "calf", Umb vitlo "calf"); থেকে ধার করা হয়েছে।.[১৬] ষাঁড় ছিলো একটি দক্ষিণ ইতালীয় উপজাতির প্রতীক এবং স্বাধীন ইতালির সামনিট যুদ্ধের সময় রোমান উদ্ধত নেকড়েকে রক্তাক্ত করে বলে প্রায়ই শোনা যায়। গ্রিক ইতিহাসবিদ ডিওনিসিয়াস অব হালিকারনাসাস এর মতে, লোককাহিনীর বরাত দিয়ে তিনি ইতালিকে ইটালুস (Italus) আখ্যা দেন,[১৭] এরিস্টটল[১৮]থুসিদিদেসও (Thucydides)[১৯] একই মত দেন। ইতালি নামটি প্রকৃত অর্থে বর্তমান দক্ষিণ ইতালির জন্য প্রযোজ্য যা এন্টিওচুস অব সাইরাকাস এর মতে, ব্রুত্তিউম উপদ্বীপের দক্ষিণভাগ (বর্তমান কালাব্রিয়া)। তার সময়ে ইতালি ও এনোট্রিয়া (Oenotria) সমার্থক ছিল। এটি লুকানিয়ার কিছু অঞ্চলের জন্যও ব্যবহৃত হত। যা বৃহত্তর অঞ্চলের জন্য গ্রিকরা ইতালিয়াতে ধীরে ধীরে প্রচলন করেন কিন্তু পুরো উপদ্বীপ রোমানরা জয়লাভের আগ পর্যন্ত এর ব্যাপকতা ছিল না।[২০]

প্রাক্‌-ইতিহাস ও প্রাচীন রোম[সম্পাদনা]

৭০-৮০ খ্রিষ্টাব্দে রোমের কলসিউমটি স্থাপিত হয়

দুই লক্ষ বছর আগের পিলিওলিথিক যুগেও (Paleolithic period) সমগ্র ইতালি জুড়ে আধুনিক সভ্য মানুষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।[২১] রোমান পূর্ববর্তী ইতালীয় জাতিসমূহ যেমন উম্ব্রিয়ান, ল্যাটিন (যারা রোমানদের কাছ থেকে আবির্ভূত হয়েছিলো), ভোস্কি, সামনিট, চেলটিক এবং লিগুইররা ছিলো ইতালির উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা, অনেকে ছিলো ইন্দো-ইউরোপীয় গোত্রের; তবে মূল ঐতিহাসিক মানুষগুলো ছিলো উত্তরাধিকার সূত্রে ইট্রুষ্কান, ইলিমিয়ানসিসিলীয় সিকানী এবং প্রাক-ঐতিহাসিক সার্দিনিয়ান গোত্রের।

খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তাদশ থেকে একাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে মাইসেনিয়ান গ্রীকরা ইতালির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে[২২][২৩][২৪][২৫][২৬][২৭][২৮] এবং খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম ও সপ্তম শতাব্দীতে গ্রীকরা সিসিলীয়ার উপকূলের পুরো জায়গা জুড়ে ও ইতালি উপদ্বীপের (Peninsula) দক্ষিণ অংশে মানিয়া গ্রেয়েসিয়া নামে উপনিবেশিক বসতি (Greek Colony) গড়ে তোলে। এদের সাথে ফোনেসিয়ানরাও (Phoenicians) সারদিনিয়াসিসিলিয় উপকূলে বসতি নিবাস স্থাপন করে। আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে প্রাচীন রোমে একটি ক্ষুদ্র কৃষি গোষ্ঠী গড়ে উঠেছিলো। পুরো শতাব্দী জুড়ে মেডিটারিয়ান সাগর বেষ্টিত কলোসাল সাম্রাজ্য, যেখানে আদি গ্রিক ও রোমান সংস্কৃতির সমন্বয়ে এক নতুন সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো। এই সভ্যতার একটি অংশ বর্তমান আইন, প্রশাসন, দর্শন, এবং কলা'র মধ্যেই টিকে আছে পশ্চিমীয় সভ্যতার মূল ভিত্তি হিসেবে। চতুর্থ শতাব্দীর শেষের দিক হতে ৩৯৫ খ্রিষ্টাব্দে রোম সাম্রাজ্যকে শেষ পর্যন্ত দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়ঃ পশ্চিমা সভ্যতা (ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশন) ও প্রাচ্য সভ্যতা (ইস্টার্ন সিভিলাইজেশন)। পূর্ব ইউরোপের ফ্রাঙ্ক (সাধাসিধে উপজাতি), ভ্যান্ডল (ধ্বংসকারী উপজাতি), হুন, গোথ (বর্বর উপজাতি) এবং অন্যান্যদের জনসংখ্যাধিক্যে পশ্চিমাভাগ পরিশেষে বিলুপ্ত হয় ও ইতালীয় উপদ্বীপ ত্যাগের মাধ্যমে একটি ছোট স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং পরবর্তী ১৩০০ বছরে নগর রাজ্যগুলোতে কলহ, দ্বন্দ্ব লেগে ছিলো। শুধুমাত্র প্রাচ্যরাই (বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যই) রোমান সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়ে উঠে।

মধ্যযুগ[সম্পাদনা]

ইতালির নাভাল জ্যাক, প্রধান সামুদ্রিক প্রজাতন্ত্রের চিত্রাঙ্কিত ঢাল। ঘড়ির কাটার মতন বাম থেকে ভেনিস, জেনোভা, পিজা, আমালফি

৬ষ্ট শতাব্দীতে বাইজান্টাইন সম্রাট ১ম জাস্টিনিয়ান ওস্ট্রুগথদের হাত থেকে ইতালী পুনরায় জয় করেন। একই শতাব্দীর শেষের দিকে লোম্বার্ডদের ও জার্মানীয় উপজাতিদের অধিক্রমণে বাইজান্টানদের এক্সারচ্যাট অব রেভান্না-সহ দক্ষিণ ইতালীর অন্যান্য অংশে উপস্থিতি কমতে শুরু করে। লোম্বার্ডদের শাসনামলে ৮ম শতাব্দীর শেষ ভাগে ফ্রাঙ্কিস সাম্রাজ্যের চার্লম্যাগন উত্তর ও ইতালির মধ্যভাগের বেশিরভাগ এলাকা শাষিত হয়। ফ্রাঙ্কিস রাজা মধ্য ইতালির রোম থেকে রেভান্না পর্যন্ত বিস্তৃত করে পোপকে একটি যথাযথ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সাহায্যও করেছিলেন যদিও তিনি মধ্যযুগের, বর্তমান লাত্‌জিও শহর, বেশিরভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিলেন। ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইতালীয় রাজনীতি জার্মান পবিত্র রোমান সম্রাট এবং পোপ কর্তৃক বেশিরভাগ ইতালীয় রাষ্ট্রগুলো শাসিত হয় ক্ষণস্থায়ী নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে। কর্তৃত্ব শুন্য অত্যাবশরে ইতালীয় অঞ্চল সিনোরীয়া ও মিদীয়েভাল কম্যুনের মতন প্রতিষ্ঠান গজিয়ে উঠতে দেখা দেখেছে। ইতালীয় মিদীয়েভাল নগর- রাষ্ট্রে প্রায়ই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করত, যারফলে বেশিরভার মানুষই চাইত এমন একজন মানুষ যিনি নিয়ম নীতি পুনরায় অধিষ্ঠিত করতে পারেন এবং ব্যক্তি, পরিবার, বংশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত কমাতে সক্ষম হবেন। বহুসংখ্যক যুদ্ধের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর, ইতালি বিশেষত উত্তরে, নগর সভ্যতা ধরে রাখে, যা পরবর্তীতে স্বতন্ত্রতার মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক প্রজাতন্ত্র বিকশিত হয়। নগররাষ্ট্র ছিল বাস্তবে বণিক শাসকগোষ্ঠীরা যার তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক এবং শৈল্পিক অগ্রগতি প্রতিপালিত হত। দ্বাদশ শতাব্দীতে উত্তর ইতালির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো মিলান, যা লোম্বার্ড লীগ নেতৃত্বে জার্মান সম্রাট ফ্রেডেরিক বারবারোসসা পরাজিত হয় যা অবধারিতরূপে কার্যকর প্রক্রিয়ায় উত্তর এবং মধ্য ইতালীয় শহরগুলোর স্বাতন্ত্র্যতা ত্বরান্বিত করে।

একই সময়ে, ইতালি বিপুল সংখ্যক সমুদ্রতীরবর্তী (Maritime) প্রজাতন্ত্র গড়ে উঠতে দেখেছে। তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিলো ভেনিস, জেনেভা, পিজা এবং আমালফি। রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সুবিধা নিয়ে এই সকল প্রজাতন্ত্রও সক্রিয়ভাবে ক্রুসেডে অংশগ্রহণ করেছিল। পূর্বের বাণিজ্যের জন্যে ভেনিস এবং জেনেভা শীঘ্রই ইউরোপের মুখ্য প্রবেশদ্বার হয়ে উঠে এবং কৃষ্ণ সাগর পর্যন্ত ঔপনিবেশ গড়ে উঠে ও এর প্রায়ই ভুমধ্যসাগরীয় ইসলামী দুনিয়ার সাথে বাইজেন্টান সাম্রাজ্যের বাণিজ্য নিয়ন্ত্রিত হত। তখন মিলান পশ্চিমের লোম্বার্দিকে দখলে নিয়ে ডাচি অব মিলান (ডিউকের শাসিত এলাকা মিলান) নামে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠিত হয়। মধ্যযুগের শেষের দিকে পিয়েদ্‌মন্ত একটি অপ্রধান স্যাভয় রাজ্য থেকে মাঝারি আকারের ডাচিতে পরিণত বিকাশ লাভ করেছিল। ফোলেন্স ইতিমধ্যে একটি পরিপাটি সুগঠিত বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক শহররূপে গড়ে উঠে এবং বহু শতাব্দী পর্যন্ত সিল্ক, পশম, ব্যাংক এবং মণিরত্নের জন্য ইউরোপীয় রাজধানী ছিল।

নবম শতাব্দীতে দক্ষিণে সিসিলি একটি ইসলামিক আমিরাত হয়ে উঠে এবং একদশ শতাব্দীর শেষ দিকে এটি লোম্বার্ড ও বাইজান্টাইনের অধিকাংশ এলাকা নোর্মান কর্তৃক জয়লাভের আগ পর্যন্ত সমৃদ্ধশালী ছিল। ক্রমান্বয়ে 'হাউস অফ অয়েনস্টাউফেন' (House of Hohenstaufen), এরপর 'হাউস ওব আঞ্জো' (House of Anjou); পঞ্চাদশ শতাব্দী 'হাউস অব আরাগন' (House of Aragon) (যদিও সিসিলি ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষের দিক থেকে ১৫শ শতাব্দীতে আঞ্জোর শাসনে চলে গিয়েছিল) থেকে অনেক গুলো জটিল ক্রমান্বয়িক ঘটনার মধ্য দিয়ে ইতালি একীভূত রাজ্য হিসেবে স্থায়ী ছিল। পূর্বেকার বাইজান্টান প্রদেশ সারদিনিয়া 'জুদিকাতি' নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছিল। আরাগোনিজরা ইহা জয় করার আগ পর্যন্ত অধিকাংশ দ্বীপগুলো ছিলো জেনোয়েজ (জেনেভা বাসী) বা পিজানদের অধীনস্থ।

রেনেসার যুগ (১৫শ – ১৬শ শতাব্দী )[সম্পাদনা]

রোমান স্থপতি ভিট্রুভিয়াসের বর্ণনা অনুসারে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি কর্তৃক অঙ্কিত ভিট্রুভিয়ান মানব-এর সুষম অঙ্গসৌষ্ঠব হচ্ছে রেনেসাঁর সেরা শিল্পকর্ম প্রতিভূ।

ইতালির এক তৃতীয়াংশ লোক ১৩৪৮ সালের মহামারীতে প্রাণ হারায়। [২৯][৩০] তথাপি, মহামড়কের বিপর্যয় থেকে পুনরুত্থান নগর জুড়ে ব্যবসা এবং অর্থনীতি ব্যাপকভাবে আলোড়িত করেছে। সংস্কৃতিক অর্জনের দিক দিয়ে যা ছিল মানবতা এবং রেনেসাঁর (নবজাগরণের) সাফল্যমন্ডিত অর্জন। রেনেসাঁর সাহিত্য বিবেচনায় পেট্রার্ক (স্বদেশীয় ভাষায় পরিমার্জিত রুচিসম্পন্ন পরিশীলিত সনেট ইল কান্সনিয়েরের ধারার জন্য সবচেয়ে পরিচিত) ও তাঁর বন্ধু এবং একিকালীন বোক্কাচ্চ ('ডেকামেরন' এর লেখক)। ১৫শ শতাব্দীর স্বদেশীয় বিখ্যাত কবি ও মহাকাব্যিক লেখকদের মধ্যে লুইগি পুলচি (মরগান্তে), মাত্তেও মারিয়া বোইয়ার্দ (অর্লান্ডো ইন্নামওরাতো), এবং লুদোভিকো আরিওস্ত (অর্লান্ডো ফুরিওজো) অন্যতম। ১৫শ শতাব্দীর লেখকরা যেমন কবি পোলিজিয়ানো এবং প্লাটনিস্ট দার্শনিক মার্সিলো ফিচিনো ল্যাটিন ও গ্রিক ভাষায় ব্যাপক অনুবাদ করেন। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকে কাস্তিলিওনে (দ্য বুক অব দ্য কোরটিয়ার) একজন আদর্শ ভদ্র লোক ও মহিলার উপর রচিত যেখানে মাকিয়াভেল্লি “লা ভেরিতা এফফেত্তুয়ালে দেল্লে কজে”তে (বস্তুর প্রকৃত সত্য) একজন জন্ডিস চোখা ব্যক্তিকে দিয়ে অভিনয় করান, “দ্য প্রিন্স”-এ তিনি মানবতান্ত্রিক, সৃজন শৈলী সম্পর্কযুক্ত সমান্তরালভাবে পুরানো ও আধুনিক গুণের উদাহরণ।

ইউরোপীয় পেন্টিং এর পিছনে ইতালিয়ান রেনেসাঁস পেন্টিং শতাব্দী ধরে প্রাধান্য বিস্তার করে। তাদের মধ্যে যেমন জোত্তো দি বন্দোনে, মাসাচ্চ, পিয়েরো দেল্লা ফ্রাঞ্চেসকা, ডোমেনিকো ঘিরলান্দাইও, পেরুজিনো, মিকেলাঞ্জেলো, রাফায়েল, বোত্তিচেলি, লিওনার্দ দা ভিঞ্চি এবং তিতিয়ান শিল্পীদের নাম উল্লেখযোগ্য। স্থাপত্যশিল্পে একই দশা ব্রুনেল্লেস্কি, লিওনে আল্বেরতি, আন্দ্রেয়া পাল্লাদিও, ও ব্রামান্তেরা তাদের নিদর্শনের ছাপ রাখেন। ফ্লোরেন্স ক্যাথেড্রাল, রোমের স্টু পিটার বাসিলিকা ও রুমিনির তেম্পিও মালাতেস্তিয়ানো (ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যতীত কিছু উল্লেখ করা হল) উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য। সব শেষে, আলদিন প্রেস, আলদো মানুৎজিও প্রিন্টার ভেনিসে চালু আছে যারা ইটালিয়ান টাইপ উদ্ভাবন করেন। ছোট-খাট সস্তা বই ছাপানো হয় যা পকেটে বহনযোগ্য সাথে সাথে প্রাচীন গ্রীকের সংস্করণ প্রথম প্রকাশকও তারাই।

বিদেশী শাসন এবং নাপোলিয়নিক যুদ্ধ (১৭ -১৯শ শতাব্দী)[সম্পাদনা]

মারেনগো যুদ্ধে নাপোলিয়ন-এর বিজয় ইতালিকে ফান্সের নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাঁর সম্রাট হওয়ার পথ আস্তরিকৃত হয়।

আধুনিক সময়ে শুরুর দিকে ইতালির ইতিহাস ছিল বিদেশী শাসনঃ ফলশ্রুতিতে ইতালিয়ান যুদ্ধ (১৯৪৯ থেকে ১৫৫৯ সাল), ইতালি অপেক্ষাকৃত শান্তি দেখেছিল প্রথম স্পেনের হাবসবুর্গ (১৫৫৯ থেকে ১৭১৩ সাল) এবং তারপর অস্ট্রিয়ার হাবসবুর্গমহামড়ক ইতালিতে ১৪শ থেকে ১৭শ শতাব্দীতে বারংবার উদিত হত। ভেনিসে ১৫৭৫ – ১৫৭৭ সালের প্লেগ রোগে ৫০,০০০ লোক শিকার হয় বলে দাবি করা হয়।[৩১] ১৭শ শতাব্দীর প্রথমার্ধে প্লেগের কারণে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার লোক শিকার হয় বলে দাবি করা হয়েছিল যা সমগ্র ইতালির লোকসংখ্যার ১৪%।[৩২] মিলানের প্লেগ-এর দূরাবস্থা দেখা দেয় ১৬২৯ থেকে ১৬৩১ সালে। লোম্বার্দিভেনিস বিশেষত মৃত্যুহার ব্যাপক হয়। ১৬৫৬ সালে ৩ লক্ষের মতো নেপলিস্‌ অধিবাসী প্লেগে মারা যায়।[৩৩] নাপোলিয়নিক যুদ্ধের সময়, ১৭৯৬ থেকে ১৮১৪ সালের মধ্যে দেশটির উত্তরাঞ্চল পুনর্গঠন করে ইতালির নতুন রাজ্য গঠন করা হয়, তখন এটি ছিল ফান্স সাম্রাজ্যের একটি খরিদ্দার রাষ্ট্র (Client State)। যখন উপদ্বীপটির দক্ষিণাঞ্ছল জোয়াকিম মুরাত (নেপোলিয়ানের ভগ্নিপতি) , যিনি ছিলেন নেপ্লিসের রাজা (King of Naples)। ১৮শ দশকের শেষের দিকে ভিয়েন্না কংগ্রেস (১৮১৪ সাল) পূর্বাবস্থা ফিরিয়ে এনেছিল যা ইতালির একভূতীকরণের অংশ হিসেবে উপক্রমিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি বিপর্যস্ত হয়েছিল।

ইতালির একীভূতিকরণ এবং অসাম্প্রদায়িক ইতালি (১৮৬১ – ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ)[সম্পাদনা]

ইতালির জাতীয়তাবাদী ও স্যাভয়ের ঘরের (হাউস অফ স্যাভয়) অনুগত রাজতন্ত্রবাদীদের কর্ম প্রচেষ্টার ফলে সংযুক্ত ইতালি রাজ্য সৃষ্টির হয় যা ইতালি উপদ্বীপকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে রাখে। ১৮৪৮ সালে সমগ্র ইউরোপ জুড়ে অস্ট্রিয়াতে ঘোষিত ব্যর্থ যুদ্ধ মুক্ত বিপ্লবের আলোড়ন বয়ে যায়। জোসেফ গারিবালদি দক্ষিণ ইতালির প্রজাতন্ত্রীকরণের পক্ষে একীভূতীকরণের কাজ চালিয়ে যান।[৩৪] যখন উত্তর ইতালির পিয়েদমন্ত-সারদিনিয়া রাজতন্ত্রের সরকার ছিলেন কামিল্লো বেন্সো, “কন্তে দি কাভোর” যার আকাঙ্ক্ষা ছিলো স্বীয় বিধানের একটি সংযুক্ত ইতালির। ইতালির ২য় স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অস্ট্রিয়ার সাম্রাজ্যকে সাফল্যের সহিত ৩য় নেপোলিয়নকে সাথে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে লোম্বার্দি-ভেনেসিয়া মুক্ত করেন। যার ফলে এক সময় তুরিন শহর হয়েছে উঠে এই নতুন রাষ্ট্রের রাজধানী। ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে রাজধানীটি ফ্লোরেন্সে স্থানান্তরিত হয়। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ২য় এমানুয়েল প্রুসিয়াতে অস্ট্র-প্রুসিয়ান যুদ্ধের সময় রাজ্যটি ঢেলে সাজান। অতঃপর ইতালির ৩য় স্বাধীনতা যুদ্ধের সঞ্চালনের সময় ভেনিস সংযোজিত হয়। ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে ফান্স-প্রুসিয়া যুদ্ধের সময় ফান্সের বিপর্যয়ের মতো

রোম তাঁর অবস্থান থেকে পরিত্যক্ত হয় ফলে ইতালি তড়িঘড়ি করে কর্তৃত্ব শূন্যতা পূরণে সার্বভৌম ফ্রান্স থেকে পোপীয় রাষ্ট্র দায়িত্ব নেয়া হয়।

অবশেষে ইতালি একীভূত হয় এবং কিছু সময়ের জন্য ইতালির রাজধানী ফ্লোরেন্স থেকে রোমে স্থানান্তরিত করা হয়। সরকার যতদিন রাজতন্ত্র সরকারের সংসদীয় পদ্ধতি হয়েছিল লিবারেলরা শাসন করেছিল।

ইতালির উত্তারাঞ্চল হয়ে উঠে শিল্পায়িত ও আধুনিকীকরণ, দক্ষিণ ইতালি এবং উত্তরের গ্রামীণ অঞ্চলগুলো অনুন্নত ও অচল হয়ে যায় এবং লক্ষাধিক সংখ্যক মানুষ শ্রমশিল্পে জড়িত হয়ে পড়ে, কিছু বিদেশ গমন করে। ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দের সারদিনিয়ার আলবার্টিন সংবিধি ১৮৬১ সালে ইতালির সমগ্র রাজ্যে প্রণয়ন করা হয় যাতে মৌলিক চাহিদাগুলো সমুন্নত রেখে নির্বাচনী আইনে ভুমধ্যিকারীবিহীন ও অশিক্ষিত সম্প্রদায়ের ভোটের চাহিদা নিশ্চিত করা হয় নি। ১৯১৩ সালে সার্বজনীন নির্বাচনী অধিকার গৃহীত হয়।

ইতালিয়ান সোস্যলিষ্ট পার্টি প্রচলিত উদারনীতি ও রক্ষণশীল প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করে শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। ১৯১৩ সালে ইতালীয় সর্বোচ্চ বাস্তুত্যাগ (প্রবাস গমন) পৌছায়, যখন ৮,৭২,৫৯৮ জন লোক ইতালি ছেড়ে বিদেশে চলে যায়।[৩৫] উনবিংশ শতকের শুরুর বিগত ২ দশক, ইতালি সোমালিয়া, ইরিথ্রিয়া এবং পরে লিবিয়াডোদেকানিজদের অধীনস্থ করার মধ্য দিয়ে ঔপনিবেশিক শক্তি গড়ে তোলে।[৩৬] ১ম বিশ্ব যুদ্ধের সময়, ইতালি প্রথমবারের মতো নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছিল এবং কিন্তু ১৯১৫ সালে ট্রিটি অব লন্ডন (লন্ডনের আপোসনামা) চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এবং আওস্ট্র-হাঙ্গরিয়ান সাম্রাজ্য ও সঙ্গে অত্তমান সাম্রাজ্য হতে ট্রেন্তো, ট্রিএস্তে, গোরিৎজিয়া এবং গ্রাদিস্কা, ইস্ত্রিয়া এবং দক্ষিণাত্য দালমাশিয়া পাওয়ার অঙ্গীকার লাভ করে এন্তান্তে'তে প্রবেশ করে। যুদ্ধের সময় সাড়ে ৬ লক্ষেরও বেশি ইতালীয় সৈন্য প্রাণ হারায়[৩৭] ও সাথে অর্থনীতি ভেঙ্গে যায়। সাইন্ট -জার্মাইন চুক্তি অনুসারে , রাপাল্লো ও রোম, ইতালি ফিউমে (ইতালীয় ভাষায়) হাঙ্গেরীয় পোতাশ্রয় সহ অঙ্গীকারকৃত ভূমি লাভ করে। কিন্তু জারা ছাড়া তখন যুগোস্লাভিয়ার অধীনস্থ দালমাশিয়া লাভে ব্যর্থ হয়। জাতীয়তাবাদীরা এই জয়কে “বিকলাঙ্গ” জয় বলে আখ্যায়িত করেছিল।

ফ্যসিবাদী একনায়ক তন্ত্র (১৯২২ – ১৯৪৩ সাল )[সম্পাদনা]

রাজনীতি[সম্পাদনা]

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ[সম্পাদনা]

ভূগোল[সম্পাদনা]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "National demographic balance, year 2013"ISTAT। সংগৃহীত ১৮ জুন ২০১৪ 
  2. "Census 2011 - final results"ISTAT। সংগৃহীত ১৯ ডিসেম্বর ২০১২ 
  3. ৩.০ ৩.১ ৩.২ ৩.৩ "Italy"। International Monetary Fund। সংগৃহীত ১৭ জুন ২০১৪ 
  4. "Italy: Birthplace of the Renaisssance". European Rennaisance and Reformation. Township of Washington, NJ: Immaculate Heart Academy. [n.d.]. http://www.immaculateheartacademy.org/outside2/socialstudies/kuhns/1%20Italy%20Birthplace%20of%20the%20Renaissance.pdf। সংগৃহীত হয়েছে 20 December 2009.[অনির্ভরযোগ্য উৎস??]
  5. "Unification of Italy"। Library.thinkquest.org। ৪ এপ্রিল ২০০৩। সংগৃহীত ১৯ নভেম্বর ২০০৯ 
  6. "The Italian Colonial Empire"। All Empires। সংগৃহীত ৩০ অক্টোবর ২০১০ 
  7. Human Development Report 2010[অকার্যকর সংযোগ]. The United Nations. Retrieved 5 October 2009.
  8. The Economist Intelligence Unit’s quality-of-life index, Economist, 2005
  9. "Report for Selected Countries and Subjects"। Imf.org। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬। সংগৃহীত ২ আগস্ট ২০১০ 
  10. "DDP Quick Query"। Ddp-ext.worldbank.org। ২০ জুলাই ২০০৪। সংগৃহীত ২ আগস্ট ২০১০ 
  11. "Report for Selected Countries and Subjects"। Imf.org। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬। সংগৃহীত ২ আগস্ট ২০১০ 
  12. "CIA World Factbook, Budget"। Cia.gov। সংগৃহীত ২৬ জানুয়ারি ২০১১ 
  13. "KOF – Pressemitteilung" (PDF)। সংগৃহীত ২৭ অক্টোবর ২০০৯ 
  14. Alberto Manco, Italia. Disegno storico-linguistico, 2009, Napoli, L'Orientale, ISBN 978-88-95044-62-0
  15. OLD, p. 974: "first syll. naturally short (cf. Quint.Inst.1.5.18), and so scanned in Lucil.825, but in dactylic verse lengthened metri gratia."
  16. J.P. Mallory and D.Q. Adams, Encyclopedia of Indo-European Culture (London: Fitzroy and Dearborn, 1997), 24.
  17. Dionysius of Halicarnassus, Roman Antiquities, 1.35, on LacusCurtius
  18. Aristotle, Politics, 7.1329b, on Perseus
  19. Thucydides, The Peloponnesian War, 6.2.4, on Perseus
  20. Pallottino, M., History of Earliest Italy, trans. Ryle, M & Soper, K. in Jerome Lectures, Seventeenth Series, p. 50
  21. Kluwer Academic/Plenum Publishers 2001, ch. 2. ISBN 0-306-46463-2.
  22. The Mycenaeans and Italy: the archaeological and archaeometric ceramic evidence, University of Glasgow, Department of Archaeology
  23. Emilio Peruzzi, Mycenaeans in early Latium, (Incunabula Graeca 75), Edizioni dell'Ateneo & Bizzarri, Roma, 1980
  24. Lord William Taylour, Mycenaean Pottery in Italy and Adjacent Areas (Cambridge 1958)
  25. Gert Jan van Wijngaarden, Use and Appreciation of Mycenaean Pottery in the Levant, Cyprus and Italy (1600-1200 B.C.): The Significance of Context, Amsterdam Archaeological Studies, Amsterdam University Press, 2001
  26. Andrea Vianello, Late Bronze Age Mycenaean and Italic Products in the West Mediterranean: A Social and Economic Analysis, (British Archaeological Reports International Series), British Archaeological Reports
  27. Miriam S. Balmuth, Robert J. Rowland, Studies in Sardinian archaeology, University of Michigan Press, 1984
  28. Bryan Feuer, Mycenaean civilization: an annotated bibliography through 2002, McFarland & Company; Rev Sub edition (2 March 2004)
  29. Stéphane Barry and Norbert Gualde, "The Biggest Epidemics of History" (La plus grande épidémie de l'histoire), in L'Histoire n° 310, June 2006, pp. 45–46
  30. "Plague[অকার্যকর সংযোগ]". Brown University.
  31. প্লেগ ইতিহাস, Texas Department of State Health Services
  32. কার্ল জুলিয়াস বেলোচ, Bevölkerungsgeschichte Italiens, ভলিউম ৩, পৃঃ ৩৫৯ - ৩৬০।
  33. "১৬০০ শতকের নেপলিস(Naples in the 1600s)"। Faculty.ed.umuc.edu। সংগৃহীত ৩ নভেম্বর ২০০৮ 
  34. (ম্যাক স্মিথ, দেনিস (১৯৯৭). আধুনিক ইতালি; রাজনৈতিক ইতিহাস. Ann Arbor: The University of Michigan Press. ISBN 0-472-10895-6, p. 15.
  35. Monticelli, Giuseppe Lucrezio (Summer, ১৯৬৭)। "Italian Emigration: Basic Characteristic and Trends with Special Reference to the Last Twenty Years."। International Migration Review (The Center for Migration Studies of New York, Inc.) 1 (3, Special issue, The Italian Experience in Emigration): 10–24। জেএসটিওআর 3002737ডিওআই:10.2307/3002737। ISSN 01979183। 
  36. (Bosworth (2005), pp. 49.)
  37. Mortara, G (১৯২৫)। La Salute pubblica in Italia durante e dopo la Guerra। New Haven: Yale University Press। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

দেশের প্রোফাইল
সাধারণ
সরকার
জনগণ প্রতিষ্ঠান