ঝুঁটিশালিক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঝুঁটিশালিক
Jungle Myna (Acridotheres fuscus) on Kapok (Ceiba pentandra) in Kolkata I IMG 1340.jpg
সংরক্ষণ অবস্থা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Animalia
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Aves
বর্গ: Passeriformes
পরিবার: Sturnidae
গণ: Acridotheres
প্রজাতি: A. fuscus
দ্বিপদী নাম
Acridotheres fuscus
(Wagler, 1827)

ঝুঁটিশালিক (বৈজ্ঞানিক নাম:Acridotheres fuscus) শালিক প্রজাতির পাখি। ঠোঁটের গোড়ায় খাড়া ঝুঁটি আছে বলে এমন নাম। বাসা বানায় খড়কুটো, শুকনো ঘাস, পাটের আঁশসহ বিভিন্ন রকম লতাপাতা দিয়ে। শালিকেরা কিচিরমিচির শব্দ করে ডাকে।[২]

প্রাপ্তিস্থান[সম্পাদনা]

ঝুঁটিশালিককে সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে দেখা যায়।

খাদ্য[সম্পাদনা]

ঝুঁটিশালিকের খাদ্যতালিকায় আছে: ধান, চাল, গম, ফড়িং, ঝিঁঝি পোকা, ছোট ব্যাঙ, কেঁচো, জলপোকা, মাকড়সা, উড়ন্ত উইপোকা, বট-অশ্বত্থের ফলসহ বিভিন্ন রকমের ফল, তাল-খেজুরের রস, শিমুল-মাদার ফুলের মধু প্রভৃতি।[২]

আকার[সম্পাদনা]

শরীরের রং কালচে বাদামি, মাথা কালো, চোখ লাল, চোখের চারপাশের রং হালকা লাল ও মণি গাঢ় হলুদ। ঠোঁট হলুদ, পা কমলা-হলুদ। দেহের ওপরের পালক ধূসর ছাই রঙের। পালকের শেষ প্রান্তে সাদার আভা। পেট ধূসর পাটকিলে। লেজের তলা সাদা।[২]

স্বভাব[সম্পাদনা]

ঝুঁটিশালিক খুব চেঁচামেচি করে ডাকাডাকি করে।[২]

প্রজননকাল[সম্পাদনা]

ঝুঁটিশালিক ডিম দেয় দুই থেকে পাঁচটি, রং হালকা নীল। বাচ্চা ফোটানোর সময় এরা আনন্দে মেতে ওঠে। একই বাসায় পরপর দুবার বাচ্চা ফোটায়।[২]

গ্যালারি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. BirdLife International (২০১২)। "Acridotheres fuscus"IUCN Red List of Threatened Species. Version 2012.1International Union for Conservation of Nature। সংগৃহীত ১৬ জুলাই ২০১২ 
  2. ২.০ ২.১ ২.২ ২.৩ ২.৪ স্মৃতিমন্দিরে সুখস্বর্গ!,সাহাদাত পারভেজ, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৭-০২-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।