বামপন্থী রাজনীতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বামপন্থী রাজনীতি (ইংরেজি: Left-wing politics) হচ্ছে সেই রাজনৈতিক অবস্থান বা কর্মকাণ্ড যা সামাজিক অসাম্যসামাজিক ক্রমাধিকারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সামাজিক সাম্যকে গ্রহণ বা সমর্থন করে।[১][২][৩][৪] এই রাজনীতি বিশেষভাবে জড়িত থাকে সমাজে যারা অন্যের তুলনায় কম পায় বা সুযোগহীন থাকে তাদের ব্যাপারে এবং পূর্বধারনা করে যে অসাম্যের অবিচার কমানো বা বিলুপ্ত করা উচিত।[৩]

ব্যুৎপত্তি ও ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের সময় 'Left' শব্দটির উৎপত্তি হয়। তখন পার্লামেন্টের ডানদিকে বসতেন শাসকদল এবং সভাপতির বাঁ পাশের আসনগুলোয় বসতেন বিরোধীদল। বাঁ দিকে বসার জন্য তাদের বলা হতো বামপন্থী বা Leftist.[৫] সমাজতন্ত্রীপ্রগতিশীলদেরই এখন সাধারণভাবে বামপন্থী বলা হয়। পরবর্তীকালে ফ্রান্সের অনুকরণে অন্যান্য দেশের আইনসভায়ও বিরোধী দলের সদস্যদের বামদিকে বসার রীতি চালু হয়।[৬]

বামপন্থী রাজনীতির কর্মসূচি[সম্পাদনা]

বিশ শতক পরবর্তীকালে বামপন্থী হতে হলে যে বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তা হচ্ছে বামপন্থিদের সাম্রাজ্যবাদসম্প্রসারণবাদবিরোধী হতে হবে। এছাড়াও বামপন্থি হতে হলে তাদের অবশ্যই সামন্তবাদবিরোধী তথা সামন্ততন্ত্রের অবশেষ উচ্ছেদের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে; সবরকম সম্ভাব্য আকার ও রূপে বিরাজমান ভূমিদাস প্রথার জেরগুলো, যেমন বর্গাপ্রথার উচ্ছেদ করে ভূমিসংস্কার করতে হবে। তৃতীয়ত রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়াশীল আইন বা বিধিবিধানকে তারা সমর্থন করবে না। চতুর্থত, তারা উগ্র-জাতীয়তাবাদের বিরোধী অবস্থানে সুদৃঢ় থাকবে।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Smith, T. Alexander; Tatalovich, Raymond (২০০৩)। Cultures at War: Moral Conflicts in Western Democracies। Toronto, Canada: Broadview Press। পৃ: ৩০। 
  2. Bobbio, Norberto; Cameron, Allan (১৯৯৭)। Left and Right: The Significance of a Political Distinction। University of Chicago Press। পৃ: ৩৭। 
  3. ৩.০ ৩.১ Lukes, Steven. 'Epilogue: The Grand Dichotomy of the Twentieth Century': concluding chapter to T. Ball and R. Bellamy (eds.), The Cambridge History of Twentieth-Century Political Thought.
  4. Thompson, Willie (১৯৯৭)। The left in history: revolution and reform in twentieth-century politics। Pluto Press। 
  5. প্রবীর ঘোষ; গোলটেবিলে সাফ জবাব; দেজ পাবলিশিং, কলকাতা; জানুয়ারি, ২০১২; পৃষ্ঠা- ১২০।
  6. হারুনুর রশীদ, রাজনীতিকোষ,মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা, সপ্তম মুদ্রণ, জুলাই, ২০১৩, পৃষ্ঠা-২৬৯।
  7. এম আর চৌধুরী; আবশ্যকীয় শব্দ পরিচয়; ঢাকা, এপ্রিল, ২০১২; পৃষ্ঠা-৬৯।

অতিরিক্ত পাঠ[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]