উরুগুয়ের ভূগোল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

উরুগুয়ের ভূমি ব্রাজিলের পাহাড়ী উচ্চভূমি এবং আর্জেন্টিনার পাম্পাস সমভূমির অন্তর্বর্তী একটি রূপান্তরশীল অঞ্চল। দেশের দক্ষিণভাগে রয়েছে সবুজ ঘাসের ঢেউ খেলানো সমভূমি, আর উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে নিম্ন উচ্চতার মালভূমি ও পাহাড়। পূর্বের কুচিলিয়া গ্রান্দে (স্পেনীয় ভাষায় Cuchilla Grande) অঞ্চলটি উরুগুয়ের সবচেয়ে রুক্ষ অংশ। এখানে উরুগুয়ের সর্বোচ্চ বিন্দু সের্‌রো কাতেদ্রাল (স্পেনীয় ভাষায় Cerro Catedral) অবস্থিত। আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে রয়েছে বিস্তীর্ণ বালুকাময় সৈকত, বালিয়াড়ি আর অগভীর লেগুন।

উরুগুয়াই নদী দেশটির পশ্চিম সীমান্ত গঠন করেছে। এটি পারানা নদীর সাথে মিশে আটলান্টিক মহাসাগরে পড়েছে। নদী দুইটির মিলিত স্রোত এক বিশালাকার মোহনার সৃষ্টি করেছে, যার উত্তরভাগে আছে উরুগুয়ে এবং দক্ষিণভাগে আছে আর্জেন্টিনা। এই মোহনাটির নাম রিও দে লা প্লাতা (স্পেনীয় ভাষায় Río de la Plata “রূপালী নদী”) এবং এটি সর্বোচ্চ প্রায় ২০০ কিলোমিটার চওড়া। আমাজন নদীর পরে পারানা-উরুগুয়াই নদীব্যবস্থা দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা।

রিও নেগ্রো উরুগুয়ের অভ্যন্তরভাগের প্রধান নদী, তবে কেবল এর নিম্ন অববাহিকার অংশটুকুই জাহাজ চলাচলের উপযোগী।

জলবায়ু[সম্পাদনা]

উরুগুয়ের জলবায়ু উষ্ম ও মৃদু। দেশটি বিষুবরেখার দক্ষিণে অবস্থিত বলে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। এসময় গড় তাপমাত্রা প্রায় ২২ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে। জুন মাসে সবচেয়ে শীত পড়ে; এসময় তাপমাত্রা গড়ে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসে। প্রতি বছর উরুগুয়েতে প্রায় ৮৯০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। শীতকালে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে যে শীতল ঝড়গুলি ধেয়ে আসে সেগুলিকে স্থানীয় লোকেরা পাম্পেরোস (স্পেনীয় ভাষায় pamperos) নামে ডেকে থাকে। উরুগুয়ের বেশির ভাগ অঞ্চলেই বরফ বা তুষারপাত হয় না বললেই চলে।