প্রিন্ট করুন | | 0 মন্তব্য
স্টাফ রিপোর্টার: শ্বেতী কোন ছোঁয়াছে রোগ নয়। অনেকেই বলে রোগটি বংশগত। কিন্তু এটিও সঠিক নয়। সচেতনতা ও সঠিক ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে শ্বেতী নিরাময় সম্ভব। তবে তার আগে প্রয়োজন শ্বেতী রোগ নিয়ে কুসংস্কার দূর করা। বলেছেন, দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভিটিলিগো ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এনভিএফ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন। বিশ্ব শ্বেতী রোগ দিবস উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় বলা হয়, অতীতে নানা কারণে শ্বেতী রোগের কারণ ও প্রতিকার নির্ণয় দুরূহ ছিল। কিন্তু এখনকার গ্লোবালাইজেশনের যুগে এ রোগকে জয় করা সম্ভব। লিখিত প্রবন্ধে সংগঠনের সভাপতি ও এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী বলেন, শ্বেতী রোগের কারণ শরীরের নির্দিষ্টস্থানে নির্দিষ্ট পরিমাণে মেলানোসাইট অর্থাৎ রং উৎপাদনকারী কোষের কার্যকারিতা নষ্ট ও কমে যাওয়া। শ্বেতী একটি সাধারণ রোগ হলেও সামাজিক প্রেক্ষাপটে রোগটি অতি সংবেদনশীল, প্রতিক্রিয়াশীল মানসিক বিপর্যয়কারী সমস্যা। পৃথিবীর সকল জাতি ও বর্ণের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ও হার সমান। নারী পুরুষ যে কারও হতে পারে। এ রোগ বড় সমস্যা নয়, সমস্যা সামাজিক প্রেক্ষাপট। বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ রোগটিকে বলে অভিশাপ। কেউ বলে ছোঁয়াছে ও শ্বেত কুষ্ঠ। যা কোনটিই ঠিক নয়। রোগটির চিকিৎসার বিষয়ে সর্বাগ্রে প্রয়োজন কাউন্সেলিং, ত্বকে ব্যবহারযোগ্য ওষুধ, খাবার ওষুধ, ফটোথেরাপি, প্রয়োজনে লেজার চিকিৎসা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কবীর চৌধুরী বলেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া, থাইরয়েড হরমোন সমস্যার কারণে এ রোগ হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বারডেম হাসপাতালের ল্যাবরেটরি সার্ভিস বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আফজালুল করিম, চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসক ডা. মোড়ল নজরুল ইসলাম প্রমুখ।