@ আখেরাতের যৌক্তিকতা

এই পৃথিবী চলমান, কোন কিছুই থেমে নেই, চলতে চলতেই এখানে সেখানে পেয়ে যাই কিছু আনন্দ, পাই অনেক অনেক বেদনা, যুলুম-নির্যাতন। আনন্দিতের মন ভরে না, আনন্দ চাই আরো আরো, অন্ততঃ যতটুকু ভাল করেছি তার বিনিময় তো পাওয়া উচিত ছিল। ওদিকে নির্যাতিত প্রাণ কেঁদে কেঁদে নিঃশেষ অশ্রু বিন্দু, তবু কোথাও তার কথা শোনার কেউ নেই যেন, কি আইন, কি থানা, কি গ্রাম-গোত্র প্রধান, অবশেষে অবচেতন মনের আকুল আকুতি দু’হাতে শক্তি সঞ্চয় করে তুলতে থাকে আকাশের পানে, সেই আকাশে, যেখানে বিরাজ করছেন এই বিশ্ব-ভূবনের মহান স্রষ্টা। চিন্তারা এখানে এসেই থম্কে দাঁড়ায়, তাহলে কি তিনি দেখেন না, কেন তিনি এর প্রতিকার করছেন না?

দেখেন তো তিনি সবকিছুই, মানুষের অন্তর, আটলান্টিকের গভীরে বাস করা ক্ষুদ্র প্রাণীর কান্নাও তিনি শুনতে পান, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্রাদির প্রতিটি নড়াচড়া তাঁর হুকুমেরই প্রতিক্রিয়া। এ প্রশ্নের জবাব মেলে তখনি, যখন মানুষ এবং অন্য সমগ্র সৃষ্টির আসা-যাওয়া, উত্থান-পতন ও কর্মপদ্ধতির ইতিহাসের পর্যালোচনা এসে কড়া নাড়ে কোন চিন্তাশীল মানুষের জ্ঞান ও বিবেকের দুয়ারে। প্রকৃত অর্থে এসব নিয়ে কেউ ভাবলে তার কাছে এ কথাই সত্য হয়ে ধরা দেবে যে, মানুষের জন্য পৃথিবী কোন স্থায়ী ঠিকানা নয়, তেমনি নয় কোন পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলসম্পন্ন জগৎ, যেখানে সে পাবে তার প্রতিটি কাজের সঠিক ফলাফল। তাহলে অর্থ কি দাঁড়ালো? দাঁড়ালো এই যে, কর্মকালে বা স্থানে কিংবা পরীক্ষার হলে যেমন আমরা বেতন অথবা ফলাফল পাই না; আশাও করি না, তেমনি পৃথিবীর এই সামান্য ক’টি দিনও মানব জীবনের জন্য একটা কর্মস্থল, বীজতলা, পরীক্ষাক্ষেত্র মাত্র; এর বেশী কিছু নয়। যা কিছুই এখানে পাচ্ছি তা তো সেই মহান প্রতিপালকেরই দান, তাঁর প্রতিপালনের সাধারণ নীতি এই যে, যে তাঁকে বিশ্বাস করে আদেশ মেনে চলে, তাকেও প্রতিপালন করেন আর যে তাঁকে অবিশ্বাস করে আদেশ অমান্য করে, তাকেও তিনি সমভাবেই সব প্রাকৃতিক উপায়-উপাদান দিয়েই প্রতিপালন করছেন। তখন সিদ্ধান্ত এই দাঁড়ায় যে, আল্লাহ্ সবকিছু দেখা ও শুনা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে অর্থাৎ, পৃথিবীর কর্মজীবন শেষে পরকালে না পেঁৗছা পর্যন্ত তাঁর প্রতিপালন নীতির বাইরে কাউকে কোন সুবিধাই দেবেন না এখানে, যেমনটি করে থাকেন কোন মিল-কারখানার মালিক কিংবা আমাদের পরীক্ষার হলের পরীক্ষকগণ। এই পৃথিবী প্রতিদানের জন্য নয়; বরং পরীক্ষার জন্য, কে কত ভাল কাজ করে পরবর্তী অনন্ত জগতের জন্য অধিক সঞ্চয় করছে, আর কে অকল্যাণ সাধনে সাধনে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতেই নিজের ধ্বংস সাধন করছে। আর এখানেই নিহিত রয়েছে অজ্ঞান বা অর্বাচীনের প্রশ্নের জবাব। প্রয়োজন শুধু সত্যের সন্ধানে ভাবনার…।

ভাবনা ভেবেই আর কি হবে, নথিপত্র সংরক্ষণ করেই বা কি হবে, সবকিছুই তো বিলীনযোগ্য, বিলুপ্ত হবেই। তবুও এসবের সংরক্ষণ কার জন্য? -এই হলো আপাতঃ দৃষ্টির চিরন্ময় ফলাফল। কিন্তু অন্তদর্ৃষ্টি বলে ভিন্ন কথা, শোনায় ভিন্ন গাঁথা, বিলুপ্তি নেই কোন কিছুরই। আমার জীবনের সংরক্ষণ আমি করি বা না করি, অন্য কেউ তার সংরক্ষণে অতন্দ্র লেখক। দু’টি পর্যায়ে এই সংরক্ষণ কর্মটি সম্পাদিত হচ্ছে- (এক) আমাদের স্মৃতি বা স্মরণ-সঞ্চয়ণ যা আমাদের মাথায় প্রতিনিয়ত জমা ও উত্তরাত্তর বৃদ্ধি হচ্ছে এবং (দুই) আমাদের স্রষ্টা কতর্ৃক নিযুক্ত ‘সম্মানিত লেখকবৃন্দ’ যারা আমাদের স্মরণের চেয়েও সূক্ষ্মাতি-সূক্ষ্মভাবে লিখে রাখেন মানব মন, চিন্তা ও কর্মের প্রতিটি মুহূর্তাংশ।

পর্যায়ক্রমিক জীবনের পরবর্তী ধারাগুলো হবে এরই নিখুঁত পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে এবং তা অবশ্যম্ভাবী। যেমনটি আমরা বলে থাকি অবচেতন মনেই, যদি কখনো কোন বিপদের সম্মুখীন হই ঃ ‘কি পাপ করেছিলাম যে, আজ এই বিপদে পড়লাম’ আবার অন্যদিকে, ‘কোন ভাল কাজের ফলাফল দেখে আপন মনে যেমন এই প্রশান্তি ডেকে আনি যে, আমার এই ভাল কাজের জন্য এরূপই তো আমার পাওনা এবং অন্যরাও গল্প-কথায় বলে বেড়ায় যে, দেখ, ভাল কাজের জন্য তো এমনটাই হয়ে থাকে,’ এমন ধারার কিছু কথা। অর্থাৎ, মানুষের মন ও চিন্তার চিরন্তন বিচার এই যে, তার বিপদের কারণ নিজেরই কোন মন্দকর্ম কিংবা ভুল। বলাবাহুল্য যে, জানা-অজানায় ভুলই জন্ম দেয় প্রতিটি মন্দকর্মের। জেনে-বুঝে যা করছে, তা তার জানা কিংবা উপলব্ধির ভুল আর অজান্তে যা করা হচ্ছে, জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও তা জৈবিক কামনা-বাসনার বাহ্যরূপ।

তেমনি অন্যদিকে, তার কল্যাণের কারণও কোন সৎকর্ম বলেই তার বিশ্বাস আর যে কোন ভাল কাজের স্বাভাবিক দাবীও তাই, ব্যতিক্রম ঘটে কখনো কখনো স্রষ্টার নিগূঢ় রহস্যে; যা আমাদের সীমীত জ্ঞান-চিন্তা তৎক্ষণাৎ উপলব্ধি করতে অক্ষম, কিন্তু পরবর্তী কোন এক সময় জ্ঞানী মাত্রই তার জীবনের পর্যালোচনায় এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় যে, স্রষ্টা-প্রদত্ত তার সেই অতীত না পাওয়া কিংবা কষ্ট পাওয়াটা ছিল সম্পূর্ণ সঠিক। যার ফলাফল দূর-অদূর ভবিষ্যতে এমনকি জীবনের পরবর্তী কোন ধারায় সে অবশ্যই ভোগ করবেই, জীবনের সে ধারাটি হতে পারে তার মৃতু্যর পরও; নিশ্চিত।

কিন্তু যে কথাটি বলতে যাচ্ছিলাম, আমাদের জীবনে এমন বহু সৎ-অসৎ কর্ম সম্পাদিত হয়, কখনো তার ফলাফল আমরা আমাদের জীবদ্দশায়ই পেয়ে যাই, কখনো পাই না। কেউ তো পাপে-দূস্কৃতিতে তার নিজ দেহ থেকে শুরু করে প্রতিবেশী, সমাজ, দেশ এমনকি আন্তর্জাতিকভাবেও পৃথিবীকে যন্ত্রণাময়, বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে। পৃথিবীর আদালতে তার পাকড়াও হলেও চুড়ান্ত সাজা হিসাবে বিচারক নিতে পারবেন শুধুমাত্র তার একটি প্রাণ; অথচ সে কেড়ে নিয়েছে শুধুমাত্র পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অধিবাসীদের মধ্য থেকেই দুই থেকে শুরু করে লক্ষ লক্ষ প্রাণ, বিচারকের কি সাধ্য যে তার থেকে অন্ততঃ আরো একটি প্রাণের নাজ্য বিচার প্রয়োগে সত্যিকারের সুবিচার প্রতিষ্ঠিত করবেন? পৃথিবীর সমস্ত আইন, সমস্ত আদালত এখানে এসেই অক্ষম, অসহায়। অপরাধীর শুধুমাত্র একটি হত্যাকাণ্ডের বিনিময়ই তারা নিতে পারেন, যদি তার অপরাধ হয় অন্ততঃ দু’টি হত্যাকাণ্ড, তাহলে আরেকটি হত্যার শাস্তি দেয়ার জন্য ফাঁসির পর আরেকটি হত্যার শাস্তি ভোগ করাতে জীবন্তরূপে তাকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারে না পৃথিবীর আইন।

অন্যদিকে, একটুখানি মিষ্টি হাসি দিয়ে কখনো কখনো প্রাণের শত্রুকেও আপন করে বন্ধু বানানো যায়, মৃতু্যপথযাত্রী কোন শিশু জন্য দু’একশ’ টাকার ঔষধ কিনে দিলে দেখা যায় সে সুস্থ হয়ে পৃথিবী গড়ার কাজে পেয়ে যায় আরো 40/50 টি বছর (অনিশ্চিত), স্কুল-মাদ্রাসা, হাসপাতাল, রাস্তা-ঘাট তৈরীসহ চিন্তা-কর্মে যাদের পুরো জীবনটাই শুধু দান-অবদানে ভরপুর, কি পাচ্ছে তারা পৃথিবী থেকে, কিইবা দিচ্ছে তাদের উপকৃতরা, আর কতটুকু সাধ্যই বা আছে পৃথিবীবাসীর সেই মহতের সৎকাজের বিনিময় দানে? সুস্থ-পরিচ্ছন্ন চিন্তাশীল মাত্রই সূক্ষ্ম ভাবনায় পড়বেন এ দু’টি ভিন্নমূখী দিক নিয়ে, সন্দেহ নেই।

যে কোন প্রকার আচ্ছন্নতা মুক্ত ব্যক্তিও এরপর এ সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন যে, এই পৃথিবী সত্যিকারের সূক্ষ্মাতি-সূক্ষ্ম নায্য বিচারের জন্য উপযুক্ত কোন স্থান নয়; বরং এখানে ইচ্ছা এবং পূর্ণনিষ্ঠা থাকলেও কেউ সৎ কিংবা অসৎ কাজের পরিপূর্ণ প্রতিদান যেমন দিতে পারে না, তেমনি পেতেও পারে না। তাই সিদ্ধান্ত এই যে, ‘এই সূক্ষ্ম সুবিচারের জন্য এমন একটা জগৎ দরকার যেখানে থাকবে না এ জাতীয় সংকীর্ণতা ও দুর্বলতা। যেখানে অপরাধী বা খুনী দু’টি খুন করলে তাকে একটির জন্য একবার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারার পর তার প্রাণহীন দেহে দ্বিতীয় খুনের শাস্তির জন্য প্রাণ সঞ্চার করিয়ে আবার ফাঁসিতে ঝুলানো সম্ভব।

অন্যদিকে সৎকর্মী যদি দু’টি প্রাণকে বাঁচিয়ে তোলার মত সৎকাজের প্রচেষ্টা করে থাকে, তাহলে একই সময় দু’টি প্রাণ যে পরিমাণ সুখ-শান্তি-আনন্দ উপভোগ করতে পারে, ঠিক সে পরিমাণ প্রতিদানও ঐ ব্যক্তি একাই উপভোগ করবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যার সৎ ও অসৎ কাজের পরিমাণ যত বেশী, সে তত বেশী শান্তি কিংবা শাস্তি লাভ করবে।

মানুষের ধর্ম, মানবতার জন্য পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম এই বিশেষ জগতেরই নামকরণ করেছে ‘আখেরাত’ বা মৃতু্যর পরবর্তী অনন্ত জীবন।

@থামুন! পড়ুন!! পরিচ্ছন্ন ব্লগের স্বার্থে হাত মেলান!!!

লক্ষ্যণীয় যে, আজকাল কুকুরের কামড় খেয়ে অনেকেই পাল্টা কামড় লাগানোর কু-ইচ্ছায় দাঁত বসাতে চেষ্টা করেন নোংরা ভক্ষণকারী, ঘৃণ্য, হিংস্র কুকুরের গায়ে। মানবতার জন্য এটা কি সত্যিই অসম্মানজনক নয়? কি বলে আপনাদের বিবেক? তার উপর যদি কুকুরটি হয় পাগলা কুকুর। একজন সুস্থ-বিবেকসম্পন্ন মানুষ কি করেন তখন? অবশ্যই তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন কারণ, যদি তাকে লাঠি-পেটা করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সে এমনিতেই তো পাগল পরন্তু বেপরোয়া হয়ে আরো হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে আপনার উপর। অন্ততঃ হাত-পা ছুঁড়ে তাড়িয়ে দিতে চাইলেও কিন্তু কিছু ঘেউ ঘেউ আর দাঁত-মুখের খিঁচুনি দিতে কসুর করবে না।

তাই বুদ্ধিমান সবসময় এদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।

আরেকটি প্রবাদ প্রচলিত আছে আমাদের দেশে যে, পাগলকে যদি বলা হয়- ‘সাঁকো নেড়ো না’, তবেই নাকি তার মনে হয়- ‘তাইতো, মজার ব্যাপারটা তো এতক্ষণ মাথায়ই আসেনি’, ব্যস শুরু হলো সাঁকো নাড়া। এদিকে পাগলকে স্মরণ করিয়ে দেয়া নির্বোধ তখন হয় সাঁকো থেকে টুপ করে নীচে পড়ে গাঙ্গের জল খেয়ে-নেয়ে আক্কেল সেলামীটা সেরে নেয় আর যদি সাঁকোতে না উঠে থাকে তো পাড়ে বসে পাগলের চৌদ্দপুরুষ একত্র করে তেলমালিশে লেগে যেতে হয় নতুবা ‘গালে হাত, বসে থাক’ এই সূত্র মুখস্থ করা ছাড়া দ্বিতীয় পথ থাকে না।

তাই জ্ঞানী তার জ্ঞান দ্বারা নিরিক্ষণ করে পাগল নিশ্চিত হওয়ার পর যদি সামনে আসে, তখন বলে- ‘সালাম’ মানে শান্তি!!!!!!

নেট বলেন আর আপনার নিজস্ব পরিমণ্ডল বলেন, প্রতিটি ব্যাপারেই আমি মনে করি আমাদের সিদ্ধান্তে আসা উচিত যে, এখানে অথবা যেখানেই যাই না কেন, আমি কি করবো সেখানে। সচেতন আর সময়জ্ঞানসম্পন্নরা তেমনই করে থাকেন। তর্ক-বিতর্ক মন্দ কোন বিষয় নয়, যদি তার মধ্যে থাকে জ্ঞানের লড়াই, যুক্তির বিচার, সিদ্ধান্তের ফসল; যেমনটি আমরা দেখতে পেয়েছি ডঃ আহমাদ দীদাত (আল্লাহ্ তার কবরজীবন শান্তির করুন, তার প্রতি রহম করুন) ও খ্রীষ্টান পাদ্রীদের মধ্যে এবং এমন আরো অনেকখানেই। কিন্তু যদি ব্যাপারটা হয় পিকেটার আর দাঙ্গা পুলিশের মত তাহলে তো আর সেটা বিতর্ক রইলো না। পিকেটার যেমন দশ কি পঞ্চাশ টাকার লোভে হাঁক ছাড়ে দাবী মানো, সাথে কিছু গালাগাল আর ‘দেই না একটা ঢিল ছুঁড়ে’, ব্যস অমনি শুরু হয় পাল্টা মন্তব্যের টিয়ার গ্যাস আর রাবার বুলেট। আমি এই দু’পক্ষের কারো সাথেই নেই। কিছু বলার থাকলে যুক্তি ও শালীনতার ভেতর থেকেই বলার পক্ষে।

যাই হোক, উপরের দু’টি উদাহরণ যদি আপনাদের কারো উদ্দেশ্য হয় তাহলে দেরী করবেন না, স্বজাতীয় কাজে আরো কর্মনিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠুন ‘ডাষ্টবিন এলাকা’ জুড়ে, সামনে তো নির্বাচন আসছে, বলা তো যায় না, যদি বেপরোয়া সরকার ধরে ধরে আবার পাবনার কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করে ফেলেন তো জনপ্রিয় হয়ে উঠার কম্মটাই স্বপ্ন থেকে যাবে আজীবন। একে অপরের সহযোগিতা করতে পারেন কারণ, উপরে উল্লেখিত দু’পক্ষকেই একই এলাকায় খুঁজলে পাওয়া যায়।

আর যদি উদ্দেশ্য হয়- ‘স্বদেশী অক্ষরে কিছু সুন্দর সময়ের পদ্যানন্দ উপভোগ’, ‘গদ্যময় জীবনের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি’, ‘স্বীয় আদর্শের সবটুকু সৌন্দর্যকে সমুন্নত করে আপনাপন আদর্শের প্রতি আহ্বান’, ‘যদিও হয় নিরেট কিছু সুস্থ হৈচৈ আর শব্দমালার ছুটোছুটি খেলা’, মন্দ কি তাতে, নিজেকে প্রকাশ করুন অন্তরের সবটুকু শালীনতা আর চারিত্রিক মাধুর্যতা নিয়ে, আপনার সৌন্দর্যবোধ ছুঁয়ে যাক এখানে আসা সবগুলো মন; -তাহলে এই সুন্দরমনা মানুষগুলোর প্রতি আমার কিছু আবেদন-

আপনারা উপরোল্লেখিত দু’শ্রেণীকে বর্জন করুন সুস্থতা এবং নিরাপত্তার খাতিরে। কারণ, এমন একটা লেখা যদি আপনি পড়েন, যেখানে আপনার স্পর্শকাতর দিকগুলোকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে কিংবা বিদ্রুপ করা হয়েছে, তখন নিশ্চয়ই আপনার খারাপ লাগবে ব্যাপারটা, আর এই খারাপ লাগা মনে মনে গালাগাল থেকে শুরু করে আপনার মনেও এই ইচ্ছা উঁকি দেবে যে, পাল্টা গালাগাল করি। তখনি আপনার অবস্থান এসে দাঁড়ালো উপরে উল্লেখিত ‘কুকুরের কামড় খেয়ে পাল্টা কামড় দেয়া শ্রেণী’র পর্যায়ে। মনে রাখা ভাল যে, আকৃতিতে পরিবর্তন না আসলেও আচরণের দিক থেকে মানুষ সবসময় শুধুমাত্র মানুষের পর্যায়ে থাকে না; কখনো সে হয়ে যায় শিশু কিংবা ফিরিশ্তার মত নিষ্পাপ, আবার কখনো হয়ে যায় গাধার চেয়েও নিকৃষ্ট, শিয়াল কিংবা ইবলীশের চেয়েও ধূর্ত (এসব নিয়ে অনেক মহাবাণী থাকলেও এই লেখায় দিতে ইচ্ছে করছে না)। সুতরাং, যদি পারেন তো চিনে নিন- কোন ডাস্টবিন থেকে এই নোংরা দুর্গন্ধটা ছড়াচ্ছে এবং সেদিকের জানালাটা বন্ধ করে দিন। আল্লাহ্র সৃষ্টি এই সুন্দর পৃথিবীতে স্বাস্থকর ও মুক্ত বাতাসের অনেক সঞ্চয় আছে, অভাব হবে না কোন।

যদি কোন লেখা আপনার উৎসুক মন একান্তই পড়তে চায় তো পড়ুন না, আপনার এই পড়াটা তো কেউ দেখছে না, কেন শুধু শুধু মন্তব্য লিখে সেই উনুনে পেট্রোল ঢালছেন, যার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যেতে পারে আপনাদের তিল তিল করে গড়ে তোলা এই সুন্দর বাগানখানি? আপনার চিন্তা-চেতনার বিপরীতে অবস্থানকারীর জায়গায় দাঁড়িয়ে একবার ভেবে দেখুন তো, তার বা তাদের এসব আবর্জনা (লেখনী) আপনার সুন্দর উদ্যানের সীমানায় ছুঁড়ে দেয়ার উদ্দেশ্য কি? পরিস্কার বুঝতে পারবেন যে, শুধু আপনাকে একটু নাচাতে চায় (দেখবি সাপের খেলা), কি বলেন, যদি আপনার অবস্থান ও আচরণ হয় এমনতর, তাহলে কি এটাও বলে দিতে হবে যে, সুস্থ-দুষ্ট মানুষগুলো কখনো কখনো কাকে নিয়ে মেতে উঠে (অবশ্যই পাগলকে নিয়ে)?

জ্ঞানীগণ বলে থাকেন- ‘কারো ওজন (জ্ঞান ও চিন্তার গভীরতা) মাপতে হলে একটু খোঁচা দাও (কিছু কথা বলে নাও)’, যদি এমনটি ইচ্ছে করে তো দিয়েই দেখুন না দু’একটা খোঁচা, দেখবেন হাড়ি পুরো উল্টো করে দেবে। তাহলে আর বাকী রইলো কি? এ হাড়ির খবর তো আপনার জানাই আছে, বারে বারে উল্টে দেখার তো প্রয়োজন দেখছি না; অবশ্য নতুনদের কথা আলাদা অথবা যদি কেউ ধর্মনিরপেক্ষতার মত ‘ভাল-মন্দ নিরপেক্ষ’তার রেখা বরাবর দাঁড়িয়ে থাকেন কিংবা থাকতে ভালবাসেন।

আসুন দেখিতো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সফল মানুষটি এসব ক্ষেত্রে কি করেছিলেন ঃ আমেরিকান গবেষক এইচ. হার্ট তার The Hundred Ranking of the most in influential persons history নামক গ্রন্থে একশত ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের জীবনী লিখেছেন। লেখক ধর্মের দিক দিয়ে খৃষ্টান হওয়ার পরও তার গ্রন্থে সর্বপ্রথম সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসাবে স্থান দিতে বাধ্য হয়েছেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এবং মন্তব্য করেছেন ঃ ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রভাবশালীদের তালিকায় আমি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হিসাবে মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে বেছে নিয়েছি। আমার এই পছন্দ কোন কোন পাঠককে বিস্মিত করতে পারে আবার অনেকের মনে নানা প্রশ্ন জাগাতে পারে। কিন্তু ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ধর্মীয় এবং বৈষয়িক উভয় ক্ষেত্রে সর্বাঙ্গীন সাফল্য লাভ করেছিলেন (তার জীবদ্দশাতেই)।

আবু লাহাব ছিল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আপন চাচা, সাধারণ বিচারবুদ্ধি ও আরবের তৎকালীন রীতির দাবীও এই ছিল যে, তিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাহায্য করবেন। কিন্তু ইতিহাস বলে উল্টোকথা, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনি ইসলামের দাওয়াত দিতে বেরুতেন, তখনি পিছু পিছু এই লোকটিও বেরুতো এবং পিছন থেকে পাথর মারতো ও লোকদের ডেকে ডেকে বলতো- ‘এ হচ্ছে আমাদের বাপদাদার ধর্মত্যাগী, কবি, যাদুকর ইত্যাদি। একে তো শারিরিক নির্যাতনের কষ্ট তদুপরি মানসিক মহাকষ্টে জর্জরিত হয়েও কিন্তু পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটি আমাদের জন্য রেখে গেছেন মানবতার আদর্শ, তিনি পাল্টা পাথর ছুঁড়ে মারেননি আবু লাহাবকে; বরং তিনি ছিলেন তার আদর্শের পথে পর্বতসম অটল। তাহলে আমরা কেন চুনোপুঁটির লাফালাফি দেখেই জলে ঝাঁপ দিয়ে শুকনো আর পরিপাটি জামাকাপড় ভিজিয়ে নষ্ট করবো তাদেরকে ঠান্ডা করার ঠুনকো প্রয়াসে?

সুতরাং আমার-আপনার উচিত আমাদের নিজস্ব পথে চলা, আশপাশের কাঁটা-পরগাছা আর ময়লা-আবর্জনা থেকে গা বাঁচিয়ে, কাপড় বাঁচিয়ে, কি বলেন, এটাই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়? মানুষ হিসেবে নূন্যতম যোগ্যতা (আক্কেল-আন্দাজ-বিবেক-সৌজন্যবোধ) যাদের নেই, তাদের আরেকটি ব্যাপার দেখুন- মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সঙ্গীদের নিয়ে বসে আছেন মসজিদে, এক বেদুঈন মূর্খ এসে মসজিদের ভেতরেই প্রস্রাব করতে আরম্ভ করলো, সাহাবাগণ তো ক্ষেপে গিয়ে তাকে মারতে উদ্যত হলেন। কিন্তু পৃথিবীর শ্রেষ্ট মানুষটি কি বলছেন শুনুন, তিনি বললেন ঃ ‘তাকে শেষ করতে দাও, নইলে সে অসুস্থ হয়ে পড়বে’। (সুবহানআল্লাহ্)

আসুন আমরা যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল হিসাবে বিশ্বাস করি এবং তার আদর্শ অনুসরণের চেষ্টা করি তারা এবং যারা এইচ হার্ট-এর মত শ্রেষ্ঠ মানুষ বলে স্বীকার করি, তারা সবাই তার এই ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার আদর্শটুকু মেনে চলি এবং ঐ বেদুঈন নির্বোধের নিবর্ুদ্ধিতার উত্তরসূরী যারা এই ব্লগে এসেও স্থান করেছে, তাদের প্রতি একটু দয়া করি, একটু অনুগ্রহ করি, নইলে যে ঘেউ ঘেউ আর উন্মদনার প্রাবল্যে আপনার আমার শ্রমে-ঘামে গড়ে উঠা এই সুন্দর ব্লগ-বাগানখানিতে পা ফেলতে আর রুচিতে কুলোবে না।

(প্লিজ এর যৌক্তিকতা ভাবুন এবং সহযোগিতা করুন)

@ভাবনার নথি-12.05.2006

লিখিনা, যখন লিখিনা তখন এবং তখন থেকে ধীরে ধীরে যন্ত্রণা হয়, যন্ত্রণা হয় মনের সবটুকুতেই। আচ্ছা, আমি কি লেখক যে লিখবো? নই কবিও, কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ কিছু একটা লিখে ফেলি, যেন হাল্কা হই। ভাবি, এ হয়তো কাব্য নয়, ভাবনা আবার দুর্ভাবনায় রূপান্তরিত হয়, আবার কষ্ট বাড়ে দিনে দিনে, আবার লিখি, লিখতে হয়, যেন এটাই উপশম। এখন সকাল, জীবনের সকালটা আজকাল খুব বেশী বেশী সামনে এসে দাঁড়ায়। সে ও তো যদি সুখস্মৃতি হতো, সেকালের ব্যাথাটা রীতিমত জীবন্ত হয়ে এল। আমি বলি, জীবনটা তো ব্যাথার সাগর, ছোট ছোট দ্বীপ জেগে আছে সাগরজুড়ে, ক্লান্ত আমরা খানিক বিশ্রাম নেই এদ্বীপে-ওদ্বীপে, স্মৃতিপটে আনন্দ, সুখ, ভালবাসা যে শব্দেরই অনুসন্ধান করি, এই টুকু মেলে। এদিকে দেখি তো সুবিশাল প্রাসাদ, নিঘর্ুম চোখ, ওদিকে নুড়ির বিছানায় বস্তার দেয়ালের ওপাশে প্রশান্ত নিদ্রা। মাটি আর আকাশের মাঝখানে আমাদের বসবাস। দু’দেশের দু’টি পাখির ছোট্ট সংসার আমাদের আমি। আকাশের চেয়ে মাটিই আজ বড় বেশী ভালবাসে, তাইতো আপন বুকের সবটুকু আকর্ষণ দিয়ে নিরন্তর আগলে রাখে উষ্ণতলে। আকাশ যেদিন ভালবাসবে, সেদিনই ভাঙ্গবে দু’টি পাখির এ ছোট্ট সংসার। এখন আমার আর ঐ নীলের মাঝখানে সাদা সাদা মেঘ, কখনো কখনো খুঁজে পাই, হারিয়ে যাই মেঘে মেঘে, দেশে দেশে, আকাশে আকাশে . . . ।

[সবিনয় নিবেদন ঃ এ আমার চঞ্চল মনের এলোমেলো ভাবনা, কোন বিষয় সন্ধান করবেন না যেন, যদি কেউ পড়ে থাকেন।]

প্রারম্ভ!!!

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

অন্ধত্ব মানুষকে পঙ্গু করে দেয়, কিন্তু যে চায় স্বেচ্ছান্ধত্ব, তার জন্য আলো তুলে ধরা অর্থহীন।

আলোকিত জীবন যাদের স্বপ্ন এবং সাধনা, তাদের জন্য এই ব্লগ।

আপনার মন্তব্য ও পরামর্শগুলো আশা করছি, তবে অবশ্যই শালীনতার সীমারেখা থেকে।

অশ্লীল ও অবাঞ্ছিত মন্তব্য মুছে দেয়া হবে।

আল্লাহ্ তৌফিক দিন সত্যকে চেনার, জানার ও সত্যের পথে দৃঢ়পদ থাকার।

আমীন।

প্রথম লেখাঃ ব্লগ নিয়ে (সা.ই. সম্বন্ধে)

আজকাল আর ছেলে বেলার মত ঘটা করে টিভি দেখা হয়ে উঠে না। কখনো-সখনো দেখা হয়ে যায় আর কি। এমনিকরেই টিভির পর্দায় দৃষ্টি দিলাম ‘এন.টিভি’র ‘রাইট ক্লিক’ প্রোগ্রামে এবং ঠিকানাটি পেলাম। যাত্রার প্রায় অনেকদিন পরে এভাবেই সন্ধান পেলাম ব্লগের। ইন্টারনেটে বাংলা লেখার খুব ইচ্ছে করতো, কিন্তু আমাদের ‘অভাব’ যে এখনো প্রবল, প্রকট, সুদূর পুরণেয়।
অবশেষে ঠিকানাটি লিখেই ফেল্লাম নোটবুকে, আমি আমার মায়ের ভাষাকে ইন্টারনেটে পেলাম। প্রচণ্ড খুশিতে মনটা নেচে উঠলো, এখানে সেখানে বন্ধুদের জানাতে লাগলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আন্তরিক অভিনন্দন ব্লগ পরিবারকে।
তারপর, খুব যত্ন করে ব্লগের প্রতিটি নড়াচড়া দেখতে লাগলাম। পাতা এবং নিয়ম নিয়ে কিছু অসন্তোষ এবং প্রতিকারের পরামর্শথাকলেও এ ভেবে সান্তবনা যে- সবে তো শুরু। (পরামর্শ পরে লিখছি)
ক’দিন পরের কথা, ব্লগ পাতাটি খুলতেই খুব বিরক্ত বোধ করতাম। মনে হতে লাগল এ যেন আরেক পলটন! আমরা মানুষ, আমাদের জ্ঞানের জন্যই আমরা শ্রেষ্ঠ আবার আমাদের ইচ্ছাশক্তির জন্যই আমরা নিকৃষ্ট। কথাটা কঠিন হয়ে গেল। কিন্তু এটাই সত্য এবং বাস্তব। নীতি কথা পরে কখনো লিখতে চেষ্টা করবো, এখন যা বলছিলাম- মানুষ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই ইচ্ছা-অনিচ্ছা, পছন্দ-অপছন্দ রয়েছে। রাগ, বিরক্তি ইত্যাদি ইত্যাদি অপছন্দের ব্যাপারগুলো তখনই ঘটে যখন সেসব ব্যাপারগুলো আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। ব্লগ পাতাটি খুললেই এমন অনেক বিষয় অনিচ্ছা সত্ত্বেও দেখতে হয় এবং কিছু না কিছু পড়তে হয় যা শুধু অপছন্দেরই নয়, রীতিমত মেজাজ খারাপ করা। আর তখনই মনটা বিষিয়ে উঠে একদিন প্রিয় ভেবেছিলাম যাকে, মানে ‘ব্লগ”-এর প্রতি। এভাবেই অনেকদিন আগে নাম তালিকাভুক্ত করার পরও আজই প্রথম কলম হাতে নিলাম।
মানুষের প্রয়োজন পৃথিবীতে অনেক ব্যাপক, তাই বলে প্রতিটি মানুষকেই সব ব্যাপারে জানতে হবে এমনটি অবশ্যই নয়, তাহলে কেন পছন্দভিত্তিক বিভাগ থাকতে পারে না ব্লগ পাতায়? মানুষের সমাজে দল সৃষ্টি হয় মতের মিলের কারণে, আর তাই আমরা দেখতে পাই প্রতিটি দলেরই এক একটা নিজস্ব চরিত্র আছে। তেমনি এই ব্লগও আমি মনে করি আন্তজাল ব্যবহারকারীদেরই একটা সমাজ। এখানেও ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় ব্যবহারকারীরা বিভক্ত হবেই। তাহলে তাদের জন্য এ সুবিধা চাওয়াটা কি অতিরিক্ত হয়ে যাবে? উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি কিছু বিভাগ মনে হয় এমন লিনক আইকন চোখে পড়ছে, ক্লিক করার পর ঘুরে ফিরে সেই লেখাগুলোই আসে যেন, তাছাড়া অনেকটা পরিস্কারও হচ্ছে না লিনকগুলোর মানে।
আমার পরামর্শ ব্লগ পরিবারের প্রতি ঃ
বিভাগ সম্পর্কিত-
আমার দেশ ঃ
আন্তর্জাতিক ঃ
সাহিত্য ও সংস্কৃতি ঃ
আড্ডা ঃ
সাহায্য, ঘোষণা ও অনুসন্ধান ঃ

মেীলিকভাবে একয়টি বিভাগে ভাগ করে দিতে পারেন ব্লগকে কিংবা আপনাদের ও অন্যান্য ব্যবহারকারীদের থেকেও পরামর্শ নিতে পারেন। এতে করে প্রত্যেকেই তার নিজস্ব পছন্দ নিয়ে এখানে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। ‘শৃংখলাই সুন্দর’-এই হোক আমাদের শ্লোগান। আপনাদের আবারো ধন্যবাদ।

Follow

Get every new post delivered to your Inbox.