প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০১৬, ২২:০২:৩২

মহাবিপদ সংকেত: ১০ই জুন থেকে ১৭ই জুন পর্যন্ত সূর্য উঠবে না!

অনলাইন ডেস্ক
আগামী ১০ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত টানা আট দিনের জন্য পৃথিবী সম্পূর্ণ অন্ধকারে ঢেকে থাকবে। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্প যেভাবে মানুষকে তাড়া করে ফিরছে, সে মুহূর্তে এ খবরটি পিলে চমকানোর জন্য যথেষ্টই। গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকসহ কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গুটিকয়েক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এ রকম একটি বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার হচ্ছে।
 
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বরাত দিয়ে সংবাদটিতে প্রকাশ করা হয়, সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট প্রেস কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে নাসা থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ১০ লাখ বছরের মধ্যে এই প্রথম এমন বিরল ঘটনা ঘটবে বলে জানিয়েছে নাসা। ২০১৬ সালের ১০ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত টানা আট দিনের জন্য গোটা দুনিয়া থাকবে সম্পূর্ণ অন্ধকারাচ্ছন্ন।
 
সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়, নাসার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম দুই-তিন রাতের পর অন্ধকার মানুষের কাছে বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়াবে। তারপর শুরু হবে নানা ব্যাধির প্রকোপ। সারা বিশ্বে এক নাগাড়ে বিদ্যুতের সংকট দেখা দেবে। বিভিন্ন ধরনের লাইট বিক্রি বেড়ে যাবে। চতুর্থ দিন থেকে পঞ্চম দিনের মধ্যে বাড়বে আত্মহত্যার ঘটনা। টানা রাত দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে মানুষ একসময় আত্মহত্যা করা শুরু করবে।
 
সাধারণ মানুষের পক্ষে এ ধরনের সংবাদের সত্যতা যাচাই করা থেকে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানোই তুলনামূলক সহজ হবে। তাই বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়াটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। মূলত বিজ্ঞানীদের কোনো পূর্বাভাস বা যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই পৃথিবী সম্পূণরূপে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ার মতো কোনো দুর্যোগ ঘটা নিছকই বিভ্রান্তি।
 
পৃথিবীতে একমাত্র পূর্ণ সূর্যগ্রহণের কারণে ক্ষণকালের জন্য নির্দিষ্ট অঞ্চলে সূর্যের আলো পৃথিবীতে পেঁৗছতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে চাঁদ যখন উপবৃত্তাকার কক্ষপথের এমন স্থানে অবস্থান করে (অমাবস্যার সময়) তখন চাঁদ ও পৃথিবীর ব্যবধান অপেক্ষাকৃত কম থাকে। চাঁদ পুরোপুরি সূর্যকে আড়াল করে রাখে। এ ছাড়া নরওয়েসহ কয়েকটি স্থানে (মেরুবৃত্তে) কুমেরু অঞ্চলে শীতকালে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত পুরো সূর্য উদয় হয় না বলে অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকে। পৃথিবীর অক্ষরেখা তার সমতলের সঙ্গে ২৩.৫ ডিগ্রি হেলে থাকার কারণে কখনও সুমেরু সূর্যের দিকে হেলে থাকে আবার কখনও কুমেরু সূর্যের দিকে হেলে থাকে। এ কারণে ওই স্থানগুলোতে একটি সাময়িক সময়ে সূর্যের উপস্থিতি দেখা যায় না। এ দুটো কারণ ছাড়া কোনো মহাজাগতিক বিপর্যয়ে বা অন্য কোনো কারণে পৃথিবীতে অন্ধকারাচ্ছন্নতা বিরাজ করার কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি এ মুহূর্তে নেই। যদি অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা থেকেও থাকে তবে তা বিজ্ঞানী মহলসহ সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলবে। তাই সাম্প্রতিক ফেসবুকসহ কিছু সাধারণ মিডিয়ায় পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে যাওয়া নিয়ে প্রকাশিত সব সংবাদ বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন এবং শুধু গুজব।
এ সংক্রান্ত সকল খবর
এই পাতার আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদসর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

প্রকাশক: নাহিদা আকতার জাহেদী

১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Developed by www.orangebd.com

close