দিনকালগুলো জমিয়ে রাখার খুব ইচ্ছে হয়।
ইচ্ছে থেকেই একদার মুঠোফোনটির ক্যামেরা
বেশ ব্যবহার করেছিলাম। সবাই বলতো-
এত নিম্নমানের ছবি এখানে ওখানে দিচ্ছেন কেন?
আমি ভাবলেশহীন নিজের শখেই মগ্ন থাকতাম।
কয়েকবার লেখালেখিতে চেষ্টা করেছি।
প্রতিদিনের হিসাব-নিকাশের মত দৈনন্দিন ঘটনা প্রবাহ;
এমনকি আবেগ-অনুভূতিগুলো লিখে রাখি।
এক দিন লিখি তো দশ দিন ভুলোমন আমাকে ফেলে
এদিক সেদিক দিব্যি ঘুরে বেড়ায়।
মনের দোষ দিয়ে কি হবে?
জীবনটা ধীরে ধীরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
‘আন্তর্জালের আড্ডা ঘর’ গুলোয় ঢোকার দিনগুলোতে
মন যখন পবনের উচ্চে উচ্চে উড়তো,
তখনকার দিনগুলো কাটতে চাইতো খুউব ধীরে।
তারপর কল্যাণের কাজে রাতের পর রাত চলে গেছে।
অকল্যাণের কাদাজলও কম লাগেনি।
শেষমেষ সময়টাই ফুরিয়ে গেছে।
বুঝতে বুঝতে আজকাল আমি মহাব্যস্ত একজন।
স্ত্রী, সন্তান, সংসার, হাট-বাজারের সাথে অবসর
নিত্যদিনের অফিস সেরে ঘুমের জন্য যখন যেটুকু পাই,
তাই যেন বেঁচে থাকার সম্বল।
বিড়ম্বনার ফাঁকে গালে দু’হাত ঠেকিয়ে ভাবি-
দিনগুলো কত দ্রুত চলে যাচ্ছে।
সময় কত মহামূল্যবান!
ক্লান্তি আসার আগে কাজগুলো শেষ করতে পারবো তো?
সাঁঝের লালিমা দেখে দেখে রাত্রির ঘুম শুরু করতে পারবো তো?
উপেক্ষাগুলোর মার্জনা পেয়ে অপেক্ষার অন্ধকার
শান্তির সাথে পেরুতে পারবো তো?
তারপর পাবো কি সোনালী অনন্ত….?
সে প্রত্যাশায়ই তো এ জীবন।
-২৮ মে ২০১৪, মদীনা মুনাওয়ারা, সউদী আরব।.
০ জন অতিথি মতামত দিয়েছেন " প্রবাহিত জীবনের প্রত্যাশা " লেখাটিতে।
comment rss যুক্ত করুন অথবা Trackback করুন।লেখাটি সম্পর্কে মতামত রাখুন