:: নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কবি আবু হাসান শাহরিয়ার নিজের পদ্যে নিজেকে মূল্যায়ন করেছেন- ‘স্লেটে লেখা নাম আমি মুছে যেতে আসি।‘ কবির এমন অসংখ্য পংক্তি পাঠকদের মনে-মগজে প্রতিনিয়ত নতুন চিন্তার খোরাক যোগায়। শুধু পাঠকদের প্রিয়পাঠ নয়, কবি আবু হাসান শাহরিয়ারকে বিগত দশকে স্বয়ং অগ্রজ এবং সমকালীন কবি লেখকরাও পাঠ করে মুগ্ধ হয়েছেন। পাশাপাশি নিজেদের চিন্তাকে আরও শানিত করতে পেরেছেন। অধিকাংশ পাঠকদের কাছে তিনি বৃক্ষ-নদী-নৈসর্গপ্রেমী কবি, সমকালীন লেখকদের কাছে তিনি বাংলা কবিতার উজ্জল অধ্যায়ের কবি কিংবা প্রতিবাদী এক প্রকৃতিপুত্র- এমন অসংখ্য অভিধাকে পাশ কাটিয়ে কবির কাছে পাঠকদের ভালবাসাই ‘আসল পুরস্কার’। গতকাল কবিতায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার- ২০১৬ এর ঘোষনায় আবু হাসান শাহরিয়ারের নাম দেখে সবারই মূল্যায়ন ছিল অনেকটা এরকম- ‘কবিতায় বাংলা একাডেমি পদক তার অনেক আগেই পাওনা ছিল।’ এ পদকের সাহিত্য মূল্যের আকালে আবু হাসান শাহরিয়ারকে কবিতায় পদকদান পাঠক- লেখকদের সত্যিই মুগ্ধ করেছে। ‘বরেণ্য সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান আবু হাসান শাহরিয়ারকে কবিতায় পদকদানকে বাংলা একাডেমির ‘শুভবুদ্ধির উদয়’ বলে মন্তব্য করেছেন নিজের ফেসবুক ওয়ালে। তথাপি বলা চলে, সাহিত্যের অন্যান্য ক্ষেত্রেসহ এবারের বাংলা একাডেমি পুরস্কার সর্বজনগৃহিত হয়েছে। ভোরের পাতা পরিবারের পক্ষ থেকে কবি আবু হাসান শাহরিয়ারসহ পুরস্কার প্রাপ্ত সবাইকে উষ্ণ শুভেচ্ছা।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬ ঘোষণা করেন। ২০১৬ সালে কবিতায় আবু হাসান শাহরিয়ার, কথাসাহিত্যে শাহাদুজ্জামান, প্রবন্ধ ও গবেষণায় মোর্শেদ শফিউল হাসান, অনুবাদে নিয়াজ জামান, মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্যে এমএ হাসান, আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় নূরজাহান বোস, শিশুসাহিত্যে রাশেদ রউফ পুরস্কার পেয়েছেন। নাটক ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখায় উপযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে এ দুটি বিষয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়নি।