রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ শুরু করলেন স্বামী স্মরণানন্দ। স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে গত ১৭ জুলাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর নাম ঘোষিত হয়। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি কার্যভার গ্রহণ করলেন। এত দিন মঠের সহ-অধ্যক্ষের পদ সামলাতেন তিনি। এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরে এসে প্রণাম সেরে তিনি প্রেসিডেন্ট কোয়ার্টারে যান। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন ভিড় জমিয়েছিলেন অগণিত ভক্ত। দূরদূরান্ত থেকে অনেক সন্ন্যাসীও তাঁকে প্রণাম করতে মঠে আসেন।

গত ১৮ জুন প্রয়াত হয়েছিলেন রামকৃষ্ণ মঠের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট স্বামী আত্মস্থানন্দ। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বামী স্মরণানন্দ অছি পরিষদে নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন: হৃদয়ে রামকৃষ্ণ, আচরণে কর্মযোগী

১৯২৯-এ তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার আন্দামি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী স্মরণানন্দ। খুব কম বয়সে মাকে হারান। ১৯৪৬ সালে স্কুলের পাঠ শেষ করে নাসিকে বাণিজ্য বিভাগে ডিপ্লোমা করেন। ১৯৪৯-এ মুম্বই পাড়ি দেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মুম্বই রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ১৯৫২ সালে, ২২ বছর বয়সে স্বামী শঙ্করানন্দের কাছে মন্ত্রদীক্ষা নেন। ১৯৫৬ সালে ব্রহ্মচর্য নেন স্বামী স্মরণানন্দ।

১৯৫৮-তে ‘অদ্বৈত আশ্রম’-এর কলকাতা শাখায় আসেন। দীর্ঘ ১৮ বছর কাজ করেছেন ‘অদ্বৈত আশ্রম’-এর বিভিন্ন শাখায়। বিবেকানন্দ প্রবর্তিত ইংরেজি পত্রিকা ‘প্রবুদ্ধ ভারত’-এর প্রবন্ধক সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন কয়েক বছর। প্রায় ১৫ বছর ‘রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ’-এর সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯৮৩-তে রামকৃষ্ণ মিশনের গভর্নিং বডির সদস্য হন। ১৯৯১-এ চেন্নাই রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।