বিনোদনের প্রতিবেদন: পুনশ্চ টেনিদা। বড় পর্দায়। আর টেনিদা চরিত্রে আবার শুভাশিস মুখোপাধ্যায়।
এবারের গল্প ‘কম্বল নিরুদ্ধেশ’। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই বিখ্যাত কাহিনী থেকে এবার এই টেনিদা–চিত্রটি বানিয়েছেন রাজশেখর সোম চৌধুরি। চিত্রনাট্য ও তাঁরই লেখা।
এই কাহিনীর নাম–চরিত্র কম্বল এক দুরন্ত ছেলে। যার কাজ অন্যের বাড়ি ফল চুরি করা, কুকুরের লেজে পটকা বেঁধে দেওয়া, শিক্ষকদের ভোগানো ইত্যাদি। জ্যাটা–জেটিমার শাসনও বৃথা যায়। এহেন কম্বল একদিন নিরুদ্দেশ হয়ে গেল হঠাৎই! জ্যাটার ধারণা সে চাঁদেই পাড়ি জমিয়েছে। এই রহস্য–সমাধানে হাজির হল পটলডাঙার চাটুজ্যেদের রোয়াকের সেই ‘চার–মূর্তি’। ভজহরি মুখুজ্যে ওরফে টেনিদা। চটপটে কুশল মিত্র ওরফে ক্যাবলা বাঙাল স্বর্ণেন্দু সেন ওরফে হাবুল। পেটরোগা কমলেশ বাঁড়ুজ্যে ওরফে প্যালারাম। যে কিনা কাহিনীর লেখক। হাতে তাদের সূত্র বলতে কম্বলের লিখে রেখে যাওয়া কিছু পদ্য। তারই ভেতর তাবৎ রহস্য।
প্রসঙ্গত: ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় টেনিদার কাহিনী–ভিত্তিক প্রথম ছবি ‘চারমূর্তি’। উমানাথ ভট্টাচার্যের পরিচালনায়। ঐ ছবিতে টেনিদা হয়ে ছিলেন চিন্ময় রায়। এই চিন্ময় রায়ই আবার ২০১২ সালে বানান ‘টেনিদা’। তাতে নামভূমিকায় ছিলেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। সেবারের গল্প ছিল ‘চারমূর্তির অভিযান’। প্রথম কাহিনীটির ‘সিক্যুয়েল’। আর এবারও তরুণ পরিচালক রাজশেখরের ছবিতে টেনিদা হচ্ছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ই। সঙ্গে প্যালা, ক্যাবলা আর হাবুলের চরিত্রে আছে তিন নতুন মুখ। যথাক্রমে রাজ চৌধুরী, রানা চৌধুরী আর অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। কম্বলের চরিত্রে বিট্টু।
এদের পাশাপাশি ছবিতে আছেন মনোজ মিত্র, ছন্দা চট্টোপাধ্যায়, দুলাল লাহিড়ি, নিমাই ঘোষ, সঞ্জীব সরকার, ফাল্গুনী সান্যাল প্রমুখ। ছবির সংযুক্ত পরিচালক শোভন রায়। সংগীত ভাবনায় গৌতম ও দেব। ঐ ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা জুলাইয়ের শেষে।