ঢাকা, রবিবার,২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বাংলার দিগন্ত

কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি লোকাল ট্রেনের দাবি

সোহেল রানা বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)

০৩ জুলাই ২০১৬,রবিবার, ০০:০০


প্রিন্ট

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে রাজবাড়ী-ফরিদপুর ও কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেললাইন দুইটি আবার চালু হয়। ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে এ রেলপথে যাত্রীসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ লাইনে লোকাল ট্রেন চালু করার জন্য যাত্রীরা প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই একটি ট্রেন চলার কারণে কাক্সিত সুবিধা পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি দীর্ঘদিন পর চালু হলেও এতে উপকার হয়েছে কয়েকটি এলাকার মানুষের। এ ট্রেনটি কালুখালী থেকে বহরপুর, মধুখালী, বোয়ালমারী, কাশিয়ানী, সশ্রাইল ও ভাটিয়াপাড়া এই কয়েকটি স্টেশনে স্টপেজ দেয়। কিন্তু এর মধ্যে অনেকগুলো স্টেশন রয়েছে যেখানকার যাত্রীরা এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যেমন রামদিয়া, আড়কান্দি, জামালপুর, ঘোড়াখালী সাতৈর, ব্যসপুর স্টেশনের যাত্রীরা। তাই এ রুটে যদি একটি অথবা দুটি লোকাল ট্রেনের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে এসব এলাকার যাত্রীরা অনেক উপকার পেতেন।
বহরপুর রেলস্টেশনের প্রধান কর্মকর্তা স্টেশন মাস্টার হাজী আবদুল হালিম বলেন, বহরপুর রেলওয়ে স্টেশনে মোট ৬ জন স্টাফ রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ জন মাস্টার, ২জন পোটার, ২জন গেট কিপার ও ১জন ঝাড়–দার।
স্টেশন মাস্টার আরো বলেন, এ লাইনে লোকাল ট্রেন দেয়া হলে যেমন যাত্রী বাড়বে, তেমনি বাড়বে এ লাইন এলাকার সব ক’টি হাটবাজারের ব্যবসায়িক কর্যক্রম। প্রতিটি স্টেশনের যদি মাল আনা নেয়ার বুকিং সুবিধা বাড়ে সে ক্ষেত্রে সরকারের এ খাতের আয় অনেক বৃদ্ধি পাবে। এ এলাকার রামদিয়া, বহরপুর, আড়কান্দি, জামালপুরসহ যে কয়টি হাটবাজার আছে ওই প্রত্যেকটি বাজারেই কমবেশী বড় মাপের ব্যবসায়ী আছেন যারা বিভিন্ন মালামাল বহন করে থাকেন ট্রাকে করে। আর এর জন্য ব্যবসায়ীদের গুণতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের ভাড়া। যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর। এসব মালামাল যদি রেলওয়েতে বহন করা যায় তাহলে যেমন ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন তেমনি বাজারে পণ্যের দামও সহনশীল হবে। অন্য দিকে রেলের বুকিং ব্যবস্থা হলে রেল খাত আয় করতে পারবে লাখ লাখ টাকা।
প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টায় কালুখালী থেকে ছেড়ে আসে কালুখালী- ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ভাটিয়াপাড়ায় পৌঁছে বেলা দেড়টায়। ভাটিয়াপাড়া থেকে ছেড়ে বহরপুর স্টেশনে আসে বিকেল সাড়ে ৩টায়। সকাল থেকে যাত্রীদের পদচারণায় স্টেশনটি মুখরিত হয়। আবার দুপুর ২টার পর থেকে শুরু হয় যাত্রীদের আনাগোনা। এর মাঝে দু-একটি লোকাল ট্রেন থাকলে আরো যাত্রীর আনাগোনা বাড়তো বলে মনে করেন এখানকার স্টাফরা।
বহরপুর রেলওয়ে স্টেশনের পোর্টার শিপন আলী বলেন, এ লাইনে লোকাল ট্রেন দিলে যেমন যাত্রীদের উপকার হবে তেমনি আমাদের অলস বসে থাকতে হবে না। সরকারেরও এ খাত থেকে মুনাফার পরিমাণ বেড়ে যাবে।

 

 

Logo

সম্পাদক : আলমগীর মহিউদ্দিন

প্রকাশক : শামসুল হুদা, এফসিএ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।
ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | নয়া দিগন্ত ২০১৫