নতুন কূপে গ্যাস পাওয়া গেছে

Send
সঞ্চিতা সীতু ও উজ্জল চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত : ১৫:০৮, মার্চ ০৪, ২০২০ | সর্বশেষ আপডেট : ১৯:১৮, মার্চ ০৪, ২০২০

শ্রীকাইলের গ্যাসক্ষেত্রব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের নতুন কূপে গ্যাস পেয়েছে বাপেক্স। এর ফলে শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন আরও অন্তত ১২ মিলিয়ন ঘনফুট বেশি গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ার আশা করছে তারা।

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মো. আব্দুল হান্নান আজ বুধবার (৪ মার্চ) দুপুরে জ্বালানি বিভাগকে জানান, কূপটিতে গ্যাসের চাপ ছিল ১৮৮০ পাউন্ড/ইঞ্চি (পিএসআই)। এখন কূপটি পরিষ্কার করার কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলেই কূপটি থেকে কী পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে।শ্রীকাইলের নতুন গ্যাসক্ষেত্র

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লার শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের ৫ নম্বর কূপ (এলাকাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভেতরে পড়েছে) থেকে গ্যাস উঠতে শুরু করে। কিন্তু তখন গ্যাসের সঙ্গে প্রচুর পানি উঠছিল। ফলে গ্যাস প্রাপ্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে অপেক্ষা করছিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। বুধবার দুপুরের পর থেকে পানি ওঠা কমে এলে গ্যাস পাওয়ার বিষয়ে বাপেক্স অনেকটাই নিশ্চিত হয়।

শ্রীকাইল পূর্ব-১ গ্যাসক্ষেত্রের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ কবীর জানান, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ত্রি-মাত্রিক ভূ-তাত্ত্বিক জরিপের পর গ্যাসের অস্তিত্ব জানতে পারে বাপেক্স। পরে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর নবীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা হাজীপুর গ্রামে কৃষিজমির মধ্যে রিগ বসিয়ে প্রকল্পের খনন কাজ শুরু করে বাপেক্স। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি খনন কাজ শেষ হয়। এরপর নানা খুঁটিনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গতকাল মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপের মুখে আগুন দিয়ে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়।শ্রীকাইলের নতুন গ্যাসক্ষেত্র

যে জায়গা থেকে আগেই গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে, শ্রীকাইলের সেই অংশটি কুমিল্লা জেলার ভেতরে। আর নতুন কূপটি ছয় কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমানারে ভেতরে।

শ্রীকাইল পূর্ব-১ গ্যাস প্রকল্পের খনন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহসিন আলম জানান, প্রাথমিকভাবে এই কূপে গ্যাসের চাপ বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রসেস প্ল্যান্টে এই গ্যাস প্রক্রিয়াজাত করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।শ্রীকাইলের নতুন গ্যাসক্ষেত্র

বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (ভূ-তত্ত্ব) মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘মাটির নিচে প্রায় তিন হাজার ৮০ মিটার গভীরে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গ্যাসের রিজার্ভ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এই কূপ থেকে দৈনিক ১২ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এটি মুজিববর্ষে দেশীয় কোম্পানি বাপেক্সের পক্ষ থেকে জাতির জন্য উপহার।’

শ্রীকাইল পূর্ব-১ গ্যাস কূপটি খননে ৭০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

/এফএস/এমএমজে/

লাইভ

টপ