এবতেদায়ী: পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৩
Published: 28 Dec 2010 12:20 PM BdST Updated: 28 Dec 2010 12:20 PM BdST
এ বছর এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
ঢাকা, ডিসেম্বর ২৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- এ বছর এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
প্রথমবার অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় দু'লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে দু'লাখ ২২হাজার ৩১৫জন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফসারুল আমীন মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল প্রকাশ করেন। এর আগে সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, "প্রথম বছরে মেয়েদের অংশগ্রহণের হার বেশি হলেও ছেলেরাই মেধা তালিকা, পাসের হার এবং গড় পাসের দিক থেকে এগিয়ে আছে।"
এ বছর ছেলেরা পাস করেছে ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং মেয়েরা পাস করেছে ৮২ দশমিক ০১ শতাংশ।
প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৮ হাজার ১৪৬ জন এবং দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে এক লাখ এক হাজার ৩০ জন। তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৩ হাজার ১৩৯ জন।
৬ টি বিষয়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মিলিত মেধা তালিকায় সর্বোচ্চ ৫৮৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান লাভ করেছে কুমিল্লা জেলার জুরানপুর আলিম মাদ্রাসার ছাত্র মো. মাসউদ আলম। ৫৮৪ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে পাবনা সদর উপজেলার পাবনা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ছাত্র জাকির উল্লাহ মাহমুদ। ৫৮২ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে গোপালগঞ্জ জেলার পিংগলিয়া সিদ্দিকীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র ইব্রাহিম মোল্লা।
সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম থেকে দশম স্থান লাভ করেছে ১৪ জন শিক্ষার্থী।
স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসার মধ্যে সংযুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসায় পাসের হার বেশি। সংযুক্ত মাদ্রাসায় পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৯। স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩০।
সেরা দশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম হয়েছে ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার মহিলা শাখা, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নরসিংদীর জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসা (মহিলা শাখা) এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাবনার ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা।
বিষয়ভিত্তিক কুরআন ও আকাইদ ফিকহতে শিক্ষার্থী পাসের হার সবচেয়ে বেশি। এতে ৯৭ দশমিক ৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সর্বনিু পাসের হার ইংরেজিতে। ইংরেজিতে ৮৯ দশমিক ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
পরিবেশ পরিচিতি, সমাজ ও পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞানে ৯৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। বাংলায় ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গণিতে পাস করেছে ৯১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিভাগ অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পাসের হার বরিশাল বিভাগে। এ বিভাগে পাসের হার ৯১ দশমিক ৫৫। সর্বনিু পাসের হার সিলেট বিভাগে। এ বিভাগে পাসের হার ৭১ দশমিক ৫৫।
পাসের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। এ বিভাগে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৬০। পাসের হার ৮৬ দশমিক ০৬ হওয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিভাগ। পাসের হার ৮৪ দশমিক ১১ শতাংশ হওয়ায় চট্টগ্রাম বিভাগ চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। ৮৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ পেয়ে রংপুর বিভাগ পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ পেয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ।
ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রাথমিক ও এবতেদায়ী শিক্ষা উভয় সমাপনী পরীক্ষায়ই ঢাকা বিভাগের পাসের হার কম। পাসের দিক থেকে এবতেদায়ীতে এ বিভাগের অবস্থান ষষ্ঠ এবং প্রাথমিকে এ বিভাগের অবস্থান পঞ্চম।
মন্ত্রী জানান, এ বছর ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। এক মাস পর এ বৃত্তি বিতরণ করা হবে। এর আগে শিক্ষার্থীদের দু'দিনের মধ্যেই পরীক্ষা পাসের সনদ প্রদান করা হবে। যাতে তারা ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারে।
মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, সচিব আব্দুল আউয়াল মজুমদার, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/জেএফ/কেএমএস/১৮১৮ ঘ.
প্রথমবার অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় দু'লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে দু'লাখ ২২হাজার ৩১৫জন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফসারুল আমীন মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল প্রকাশ করেন। এর আগে সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, "প্রথম বছরে মেয়েদের অংশগ্রহণের হার বেশি হলেও ছেলেরাই মেধা তালিকা, পাসের হার এবং গড় পাসের দিক থেকে এগিয়ে আছে।"
এ বছর ছেলেরা পাস করেছে ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং মেয়েরা পাস করেছে ৮২ দশমিক ০১ শতাংশ।
প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৮ হাজার ১৪৬ জন এবং দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে এক লাখ এক হাজার ৩০ জন। তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৩ হাজার ১৩৯ জন।
৬ টি বিষয়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মিলিত মেধা তালিকায় সর্বোচ্চ ৫৮৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান লাভ করেছে কুমিল্লা জেলার জুরানপুর আলিম মাদ্রাসার ছাত্র মো. মাসউদ আলম। ৫৮৪ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে পাবনা সদর উপজেলার পাবনা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ছাত্র জাকির উল্লাহ মাহমুদ। ৫৮২ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে গোপালগঞ্জ জেলার পিংগলিয়া সিদ্দিকীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র ইব্রাহিম মোল্লা।
সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম থেকে দশম স্থান লাভ করেছে ১৪ জন শিক্ষার্থী।
স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসার মধ্যে সংযুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসায় পাসের হার বেশি। সংযুক্ত মাদ্রাসায় পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৯। স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩০।
সেরা দশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম হয়েছে ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার মহিলা শাখা, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নরসিংদীর জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসা (মহিলা শাখা) এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাবনার ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা।
বিষয়ভিত্তিক কুরআন ও আকাইদ ফিকহতে শিক্ষার্থী পাসের হার সবচেয়ে বেশি। এতে ৯৭ দশমিক ৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সর্বনিু পাসের হার ইংরেজিতে। ইংরেজিতে ৮৯ দশমিক ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
পরিবেশ পরিচিতি, সমাজ ও পরিবেশ পরিচিতি বিজ্ঞানে ৯৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। বাংলায় ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গণিতে পাস করেছে ৯১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিভাগ অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পাসের হার বরিশাল বিভাগে। এ বিভাগে পাসের হার ৯১ দশমিক ৫৫। সর্বনিু পাসের হার সিলেট বিভাগে। এ বিভাগে পাসের হার ৭১ দশমিক ৫৫।
পাসের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী বিভাগ। এ বিভাগে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৬০। পাসের হার ৮৬ দশমিক ০৬ হওয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিভাগ। পাসের হার ৮৪ দশমিক ১১ শতাংশ হওয়ায় চট্টগ্রাম বিভাগ চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। ৮৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ পেয়ে রংপুর বিভাগ পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ পেয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ।
ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রাথমিক ও এবতেদায়ী শিক্ষা উভয় সমাপনী পরীক্ষায়ই ঢাকা বিভাগের পাসের হার কম। পাসের দিক থেকে এবতেদায়ীতে এ বিভাগের অবস্থান ষষ্ঠ এবং প্রাথমিকে এ বিভাগের অবস্থান পঞ্চম।
মন্ত্রী জানান, এ বছর ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। এক মাস পর এ বৃত্তি বিতরণ করা হবে। এর আগে শিক্ষার্থীদের দু'দিনের মধ্যেই পরীক্ষা পাসের সনদ প্রদান করা হবে। যাতে তারা ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারে।
মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, সচিব আব্দুল আউয়াল মজুমদার, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/জেএফ/কেএমএস/১৮১৮ ঘ.
আরও পড়ুন
- এমবিবিএস ফাইনাল প্রফ পরীক্ষা স্থগিত
- ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে নতুন উপ-উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান
- গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন শুরু
- স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গ্রীষ্মকালীন সেমিস্টারে ভর্তি শুরু
- নেপালের রাষ্ট্রপতি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্র্যাক উপাচার্যের সাক্ষাত
- সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
- উচ্চশিক্ষায় স্টেট ইউনিভার্সিটির ‘প্রান্তিক প্রসার’ প্রকল্প
- স্ট্যামফোর্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
সাম্প্রতিক খবর
- এমবিবিএস ফাইনাল প্রফ পরীক্ষা স্থগিত
- ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে নতুন উপ-উপাচার্য
- গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন শুরু
- স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গ্রীষ্মকালীন সেমিস্টারে ভর্তি শুরু
- নেপালের রাষ্ট্রপতি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্র্যাক উপাচার্যের সাক্ষাত
- সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
মতামত
সর্বাধিক পঠিত
- এক সপ্তাহের জন্য ‘লকডাউন’ আসছে
- করোনাভাইরাস: এক দিনে রেকর্ড ৬৮৩০ রোগী শনাক্ত
- আপনাদের কথার গুরুত্ব আমার বা দলের কাছে নেই: তামিম
- পুরনো দু-একজনকে ফেরানোর ইঙ্গিত ওয়ানডে অধিনায়কের
- চট্টগ্রামে নিজের ঘরে গুলিতে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে
- বিশ্বকাপে দলের আকার বাড়ল
- রেকর্ড সংক্রমণের দিনে মানুষের ঢল
- সেই রইজ উদ্দিন মারা গেছেন
- ‘পরের সিরিজেই হয়তো তিনে ফিরবে সাকিব’
- চট্টগ্রামে দোকানপাট, বিপণিকেন্দ্র সন্ধ্যা ৬টার পর বন্ধ