Please enable javascript.উদ্যোক্তা বামেরা, তাই শৈলেন-স্টেডিয়ামে এল না তৃণমূল পরিবার - birthday celebrating of sailen manna - Eisamay

উদ্যোক্তা বামেরা, তাই শৈলেন-স্টেডিয়ামে এল না তৃণমূল পরিবার

preetam basu | Eisamay | Updated: 1 Sep 2013, 9:35 am
Subscribe

আমরা-ওরা-র ফাঁসে এ বার ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি শৈলেন মান্নাও৷ যে মানুষটা সারাজীবন কোনও রং না-দেখে সবার ডাকে সাড়া দিয়ে সব পার্টি, সব ক্লাবের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন, তিনি নিজের শহরে রাজনীতির রংয়ের শিকার হয়ে গেলেন৷ ৮৯ তম জন্মদিনের আগের বিকেলে৷

 
এই সময়: আমরা-ওরা-র ফাঁসে এ বার ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি শৈলেন মান্নাও৷ যে মানুষটা সারাজীবন কোনও রং না-দেখে সবার ডাকে সাড়া দিয়ে সব পার্টি, সব ক্লাবের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন, তিনি নিজের শহরে রাজনীতির রংয়ের শিকার হয়ে গেলেন৷ ৮৯ তম জন্মদিনের আগের বিকেলে৷


হাওড়া স্টেডিয়াম শনিবারই হয়ে গেল শৈলেন মান্না স্টেডিয়াম৷ এবং নাম বদল উপলক্ষে প্রয়াত ফুটবলারকে নিয়ে টানাপোড়েনে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম৷ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিল হাওড়া পুরসভায় বামফ্রন্ট পরিচালিত বোর্ড৷ তাই আমন্ত্রিত হয়েও এই অনুষ্ঠানে হাজির হলেন না তৃণমূল কংগ্রেস বা রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি৷ এমনকী হাওড়ার ফুটবলার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত গরহাজির ছিলেন৷ ছিলেন না স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অরূপ রায়ও৷

এঁদের অনুপস্থিতি সে ভাবে প্রভাব না-ফেললেও প্রায় হাজার আটেক দর্শক অবাক হয়ে যান স্টেডিয়ামের ফলক উন্মোচনে শৈলেন মান্নার পরিবারের কাউকে হাজির হতে না দেখে৷ পুরসভার তরফে জানানো হয়েছিল, এই ফলক উদ্বোধনে থাকবেন প্রয়াত মান্নার স্ত্রী আভাদেবী ও তাঁর মেয়ে নীলাঞ্জনা৷ এ দিন এঁরা কেউই ছিলেন না৷ এমন কী মান্নার ভাইকে আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও তিনিও আসেননি৷ আসলে নীলাঞ্জনা এখন বিধাননগর পুরসভার তৃণমূলের নির্বাচিত পুর প্রতিনিধি৷ তাই তিনিও তাঁর বাবার সম্মানের অনুষ্ঠানে আমরা-ওরা-র বিভাজন তৈরি করে ফেললেন৷ আসলে হাওড়া পুরসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে৷ এ সময়ে তাই শৈলেন মান্নার নামে স্টেডিয়াম করে বামফ্রন্ট সাধারণ মানুষের নজর কাড়তে চাইছে বলেই দাবি তৃণমূলের কর্তাদের৷ আর তাই তাঁরা এই উদ্যোগকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি৷ বয়কট করে অনুষ্ঠানকে গুরুত্বহীন করে দিতে চেয়েছেন৷

হাওড়া পুরসভার মেয়র মমতা জয়সোয়াল মাঠে দাঁড়িয়েই বলছিলেন, ‘আমরা খেলার মাঠে রং দেখিনি৷ সাংসদ-বিধায়কদের কার্ড দিয়ে আমন্ত্রণ করেছিলাম৷ প্রসূনবাবু ফুটবলের, মোহনবাগানের মানুষ৷ আশা করেছিলাম তিনি আসবেন৷ তাঁকে সম্মান জানানোর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল৷ কিন্ত্ত তিনি না এলে আমার কী করার আছে?’ মান্নার পরিবারের কেউ এলেন না কেন? মেয়রের জবাব, ‘শুধু কার্ড পাঠানো নয়, আমি নিজে ফোন করে আভাদেবীকে নিমন্ত্রণ করেছিলাম৷ উনি বলেছিলেন, ওঁর শরীর ভাল নয় ৷ আসতে পারবেন না৷ তবে নীলাঞ্জনা আসার চেষ্টা করবে৷ নীলাঞ্জনার জন্য আমরা অপেক্ষাও করেছিলাম৷ কিন্ত্ত উনিও এলেন না৷’

এ নিয়ে ফোনে আভাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওরা আমাদের নেমন্তন্ন করেছিল৷ কিন্ত্ত আমার শরীর ভাল নয়৷ তাই যেতে পারিনি৷ আর নীলাঞ্জনারও একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিল ওই সময়েই৷ ফলে ও যেতে পারেনি৷ তবে আমি এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷’

এই অনুষ্ঠানে চুনী গোস্বামী, বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণ ঘোষ, নিখিল নন্দী, লক্ষ্ণীকান্ত দাস, বলাই দে, সুব্রত ভট্টাচার্য, অশোক চট্টোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লার মতো ক্রীড়া তারকারা হাজির থাকলেও ছিলেন না প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রদীপবাবুকে সংগঠকদের পক্ষ থেকে আনতে যাওয়া হলে তাঁর বাড়ি থেকে বলে দেওয়া হয়, তিনি অন্য অনুষ্ঠানে চলে গিয়েছেন৷ হাজির এই তারকারাই বলতে থাকেন, ‘প্রদীপদা যে অনুষ্ঠানে যাবেন বলেন, সেখানে যানই৷ এখানে তিনি আসেননি, তাঁর ভাই প্রসূন হাওড়ায় তৃণমূলের সাংসদ বলে৷’

ভারতে ভাইচুং ভুটিয়ার নামে নামচিতে একটি অসমাপ্ত স্টেডিয়াম ছাড়া আর কোথাও কোনও ফুটবলারের নামে স্টেডিয়াম নেই৷ সেখানে শৈলেন মান্নার নামে এই স্টেডিয়াম, সঙ্গে আরও দুই প্রয়াত ফুটবলার- সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও অমিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ব্লক ঘোষণা বাংলার ফুটবলের একটি মাইলফলক৷ কিন্ত্ত রাজনীতির রং লেগে তা অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল৷



আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ
টাটকা খবরের আপডেট পেতে EI Samay ফেসবুকপেজ লাইক করুন
মন্তব্য করুন

দৈনিক গুরুত্বপূর্ণ খবরের আপডেট পেতে চান?

ধন্যবাদ